উত্তর ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha ELection 2024) বছরে অন্যতম নাম সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই বাংলার তামাম দুর্নীতিকে পিছনে ফেলে, নারী নির্যাতনের মত ভয়াবহ অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন নির্যাতিতারা। প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও, এই কেন্দ্রের হিংসা, অশান্তি কমেনি। গত পয়লা জুনে এখানে অশান্তি নিয়েই নির্বাচন শেষ হয়েছিল। দেখতে দেখতে আজ ভোট গণনার দিন (Counting Day)। বলাইবাহুল্য এই কেন্দ্রে মোটেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এদিন গণনার দিন সকাল থেকে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে (Section 144 Imposed)। সন্দেশখালি ১ নং ব্লকের ন্যাজাটের অন্তর্গত ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোট মিটতেই সন্দেশখালিতে ফিরল ১১৪ ধারা। সকাল ৬টা থেকে ১৭টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে। এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, বারবার কেন একই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে? ভোটের দিন সন্ত্রাস! ভোট মিটতেই, পুলিশি অভিযান ঘিরে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালিতে। অন্যদিকে, সন্দেশখালির একাংশে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন।
অবরোধ, আগুন, পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইটবৃষ্টি,পাল্টা চলেছিল পুলিশের লাঠিচার্জ। গত শনিবার শেষদফার ভোটে এভাবেই বারে বারে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালির একাধিক এলাকা। এই চার গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৭টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার। নতুন করে যাতে অশান্তি না হয়, তাই আজ সকাল ৬ টা থেকে ৪ তারিখ সকাল ৬টা পর্যন্ত এই এই ১৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার রাজবাড়ি থেকে আগারহাটি শেখপাড়া, কানমারি, চুঁচুড়া-সহ একাধিক এলাকায় পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধে দফায় দফায়।
আরও পড়ুন, স্ট্রং রুমে ক্যাজুয়াল স্টাফ কেন? প্রশ্ন BJP প্রার্থী হিরণের, উত্তেজনা ঘাটালে
মূলত এরকমই ১৭টি জায়গায় এদিন প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন,কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বারবার অবনতি হচ্ছে সন্দেশখালিতে?যেখানে পুলিশ-প্রশাসন জানে গন্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে, তার পরও কেন অশান্তি-বিক্ষোভ অব্য়াহত রয়েছে? বারবার কেন একই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,' এটাই তো আমাদের রাজ্য়ের ব্য়র্থতা। এটা রাজ্য়ের ব্য়র্থতা যে আজকে ভোটের আগেও ১৪৪ ধারা, গুলি-গোলা-বোমা। ভোটের পরেও ১৪৪ ধারা, গুলি-গোলা-বোমা। কোথায় আছি আমরা, সন্দেশখালি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলে দিয়েছেন আগে জিতব তারপর যাব। এই যদি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর মনোভাব হয় তাহলে বাংলার মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? তাই সন্দেশখালি উত্তপ্ত, রক্তাক্ত।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।