নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে সাত দফায় লোকসভা ভোট। বাংলা-সহ উত্তরপ্রদেশ, বিহারে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে আজ জানিয়ে দেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Chief Election Commissioner Rajiv Kumar)। কিন্তু, কেন সাত দফায় ভোট ? এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ তুলে থাকে, বহু দফায় ভোট হলে কোনো কোনো দল সুবিধা পেয়ে যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দফা কম হলে বিশেষ সুবিধা করতে পারে না তারা। এরকম একটা আবহে আজ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়। তার মধ্যে বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোটগ্রহণের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, কেন এতদিন ধরে ভোট ? কেন এতগুলো দফা ? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তা খোলসা করে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
রাজীব কুমার বলেন, "পুরো দেশের ভৌগলিক অবস্থানের দিকে একবার নজর দিয়ে দেখুন। নদী-নালা-বরফ-পাহাড়-জঙ্গল-গরম। নিরাপত্তাবাহিনীর গতিবিধির কথা একবার ভেবে দেখুন। বিভিন্ন দফায় দু-তিনদিনের ব্যবধানে তারা ঘোরাঘুরি করবে। ওদের ওপর কী চাপ থাকে একবার ভেবে দেখুন। পুরো ভোট প্রক্রিয়ায় একবার নজর দিয়ে দেখুন- কখনো উৎসব, পরীক্ষা, হোলি, রমজান, রামনবমী- জানি না কী কী উৎসব আছে এরমধ্যে। যখন ক্যালেন্ডার নিয়ে বসি তখন একটা তারিখ লিখি তো অন্য তারিখে চলে যায়। দ্বিতীয়টা ঠিক করার সময় আবার একটা সমস্যা। কারও পক্ষ নেওয়ার জন্য বা কারও ক্ষতি করার জন্য আমরা কোনও পদক্ষেপ নিই না। কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না, এমনটা যদি কেউ ভেবে থাকেন তাহলেও তিনি ভুল ভাবছেন। তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা যেতে পারে। প্রত্যেক রাজ্যের আলাদা আলাদা বিষয়। কোনো রাজ্যে এক দফায় তো কোনো রাজ্যে সাত দফায় ভোট আছে। যেখানে সাত দফায় ভোট আছে সেখানকার বিস্তার অনেক। আসন সংখ্যাও অনেক বেশি। প্রতিযোগিতা বেশি। তাই সেখানে সাত দফায় ভোট।"
কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল। ৪ জুন লোকসভা ভোটের গণনা। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় লোকসভা নির্বাচন। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা, ৭ মে তৃতীয় দফা, ১৩ মে চতুর্থ দফা, ২০ মে পঞ্চম দফা, ২৫ মে ষষ্ঠ দফা এবং ১ জুন সপ্তম দফায় লোকসভা নির্বাচন। আবার লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় বাংলার ভগবানগোলায় এবং সপ্তম দফায় বরানগরে উপনির্বাচন। শনিবার থেকেই দেশ জুড়ে চালু হয়ে গেল নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি।