সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: দাসপুরের শ্রীবরা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে দেব (দীপক অধিকারী ) (Dev)। আর দেবকে দেখার জন্য সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছে, একাধিক তৃণমূলের কর্মী সমর্থক ও এলাকার মানুষজন (TMC Worker and Supporter)। 


এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেন, 'ভেবেছিলাম এবারে ভোটে দাঁড়াব না। কিন্তু দিদির কথায় দিদির প্রস্তাবে আবারও দাঁড়াতে রাজি হলাম। প্রতিবছর ঘাটাল বন্যায় ডুবে যায়। দিদি আমাকে কথা দিয়েছে, ঘাটালের যে মাস্টার প্ল্যান সেই মাস্টার প্ল্যানের কাজ রাজ্য সরকার করবে। তাই ঘাটালবাসীর কথা ভেবে আবারও ভোটে দাঁড়ালাম।' রাজ্যের একাধিক ইস্যু থাকলেও, প্রতি রাজনৈতিক দলের এবারের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারের মূল হাতিয়ার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। তাই বারেবারেই বিভিন্ন মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মুখ থেকে একটাই কথা বেরোচ্ছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। 


ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু তখন। আচমকাই তখন দেবের বিরুদ্ধে সাংসদ কোটার ৩০ শতাংশ কাটমানি চাওয়ার মত অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে সেসময় তুলোধনা করেন বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়। হিরণ ঘুরিয়ে প্রশ্ন তোলেন, 'ওনাকে দুবার জিতিয়ে কী অপরাধ করেছে ঘাটালের মানুষ ? কেন্দ্র ৬০ শতাংশ দিয়ে দিয়েছে, আর ৪০ শতাংশ দিতে পারছে না !' এদিকে এরপর পরই দেবের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। আর যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে, মমতার পর সাক্ষাৎ-র পর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালের হয়ে লড়বেন বলে জানান দেন দেব। এদিকে একে একে , মিলে দুই হয়ে , মমতার আরামবাগের সভায়। যখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দিদি কি আর ভাই ফেরাতে পারে' !


আরও পড়ুন, ভোটের আগে ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল কমিশন


আর এই সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে টাকা দেবে রাজ্য। এরপরেই মমতা বলেন,  'দেব হলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের চ্যাম্পিয়ন।  সুতরাং তোমার আবদার আমি কিন্তু রেখেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। ইতিমধ্যেই আমি এ নিয়ে আলোচনা করে নিয়েছি। ..ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা তৈরি করছি। এই প্ল্যানের মাধ্যমে ১৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না বলে, প্রোজেক্টগুলি করা যায়নি। কিন্তু তার মধ্যেই বরাদ্দ টাকায় কীভাবে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে আরও যে ১হাজার ২৫০ কোটি টাকা লাগবে,আমি অলরেডি বলেছি। দেব যখন আমার কাছে বলেছে, দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না।  এটা যাতে আমরা ৩-৪ বছরের মধ্যে রূপায়িত করতে পারি সেই নির্দেশ দিচ্ছি'