জলন্ধর: সাত দফার লোকসভা নির্বাচন বর্তমানে অন্তিম পর্যায়ে। আগামী রবিবার ষষ্ঠ দফার ভোট। এর পরের তথা চূড়ান্ত পর্বের ভোট ১৯ মে। এরইমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরবর্তী সরকার গঠন যুধুধান পক্ষগুলির মধ্যে ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক ও বিরোধী-উভয় পক্ষই তাঁদের জয় হবে বলে দাবি করেছেন। এরইমধ্যে বিজেপির শরিক শিরোমণি অকালি দলের দলে নেতা নরেশ গুজরাল বেসুরো গাইলেন। নিজেকে বাস্তববাদী হিসেবে দাবি করে গুজরাল বলেছেন, এবারের ভোটে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়ত পাবে না এবং যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন না কেন, তাঁকে একটি স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।
গুজরাল অবশ্য বলেছেন, বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এনডিএ-ই সরকার গঠন করবে।
সংসদে বিজেপির সবচেয়ে পুরানো জোট শরিকের নেতা গুজরাল বলেছেন, আমি বাস্তববাদী..এবং বিশ্বাস করি যে, কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না তবে এনডিএ জিতবে এবং একটি স্থায়ী সরকার গঠন করবে।
বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কে জোটের নেতৃত্ব দেবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে পঞ্জাব থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা সাংসদ বলেছেন, এ ব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নেবে।
গুজরাল বলেছেন, বিষয়টি নির্ভর করছে বিজেপির ওপর, তারা যাকেই বেছে নিক, আমরা স্বচ্ছন্দে তাঁর সঙ্গে থাকতে পারব।
বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এনডিএ-কে যিনি নেতৃত্ব দেবেন, তাঁকে সবাইকে নিয়ে চলবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পূর্বতন জনতা দলের নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আইকে গুজরালের ছেলে। তাঁর পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের জন্য কেন্দ্রকে শরিকদের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের মাণের অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গুজরাল বলেছেন, সমস্ত নেতাকে বুঝতে হবে যে, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, শত্রু নন।
এরইমধ্যে  ফের নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন জেডিইউ-র এক নেতা। বিহারে বিজেপির জোট শরিক জেডিইউ নেতা গুলাম রসুল বলিয়াভি বলেছেন, এবারের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না। সেজন্য নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বলিয়াভি বর্তমানে বিহারের বিধান পরিষদের সদস্য। রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিশ্বস্ত বলেও পরিচিত তিনি।