সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, প্রকাশ সিনহা, শিবাশিস মৌলিক, কোচবিহার:  কিছুক্ষণ পরেই শুরু লোকসভা ভোটের মহারণ। প্রথম দফায় রাজ্যে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। নিশীথ-উদয়নের দ্বৈরথে আগে থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। আর এবার নির্বাচনের দিন সকালেও , ভোট শুরুর আগে ফের একবার উত্তেজনা ছড়াল এই কেন্দ্রে। 


কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের বুথে উত্তেজনা দেখা গেল সাত সকালে। ঘটনাটা কী? অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানায় বিজেপি। অভিযোগের পর ছবি-পতাকা দ্রুত সরায় তৃণমূল। 


অন্যদিকে আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল মাথাভাঙায় । এক সিআরপিএফ জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। মৃত জওয়ানের নাম নীলেশকুমার নীলু। নীলেশকুমার নীলু বৃহস্পতিবার রাতে বাইশগুড়ি হাইস্কুলে মোতায়েন ছিলেন ওই কর্মী। বাহিনীর তরফে জানানো হয় ভোটকেন্দ্রেই ওই জওয়ান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হলেন কীভাবে ? অতিরিক্ত গরমের জেরেই কি এই অসুস্থতা নাকি অন্য কিছু ? তাই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। 


এদিন ভোট শুরুর আগে কোচবিহার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোর্সার চর এলাকায়  উত্তেজনা ছড়ায়। ভোটারদের ভয় দেখানো, বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর-মারধরের অভিযোগ তোলে বিজেপি।  


বৃহস্পতিবার রাতেও অশান্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। হাঁসুয়া নিয়ে তৃণমূলকর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন দলের বুথ সভাপতির বাড়িতে যাওয়ার সময় তৃণমূলকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হাঁসুয়ার কোপে গুরুতর আহত হন এক তৃণমূলকর্মী। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও, তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি পাল্টা দাবি করেছে, তৃণমূল নিজেদের মধ্য়ে গন্ডগোল করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। 


লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ৩ জেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। শুক্রবার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে । ভোট উপলক্ষে কোচবিহারে মোতায়েন  ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী,  আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।  


আরও পড়ুন : 


গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবের মঞ্চে প্রথম দফায় ষোলোশোরও বেশি প্রত্যাশীর ভাগ্য নির্ধারণ সাড়ে ষোলো কোটিরও বেশি মানুষের হাতে