সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : কোন্নগরে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার গাড়ি থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামিয়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। আর এবার সেই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ল হুগলিতেও। বৃহস্পতিবার হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচার ও জনসংযোগে বের হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্নগর স্টেশন রোডে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে থেকে শুরু হয় প্রচার। সেখানেই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর হুড খোলা গাড়িতে দেখা যায় অভিনেতা ও উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। কাঞ্চনকে দেখেই বিরক্ত হন কল্যাণ। তাঁকে নেমে যেতে বলেন। এবার এই ঘটনা রচনার সঙ্গেও ঘটবে না তো ? এমন সম্ভাবনার কথা উস্কে দিয়ে পোস্টার পড়ল হুগলিতে। 


হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ে। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে। তাতে লেখা হয়, 'আজকে কাঞ্চনের সাথে হয়েছে, আগামীতে আপনার সাথে হতে পারে" ( দিদি নম্বর ওয়ান)। এই বাংলায় শিল্পীদের কোন দাম নাই। ' নিচে লেখা জয় বাংলা। কে বা কারা এই পোস্টটা দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।তবে ইঙ্গিত স্পষ্ট।


এই খবর শুনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সব শিল্পীর সম্মান পাওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। তবে কাঞ্চনের ক্ষেত্রে কী পরিস্থিতি হয়েছিল সেটা আমার জানা নেই, তাই বলতে পারব না । আমার সঙ্গেও হতে পারে এই মর্মে যদি পোস্টার পড়ে থাকে, আমি বলব আমার সঙ্গে এখনও হয়নি। আমি, কাঞ্চন বা কল্যাণদা, কাউকেই সমর্থন করছি না। কারণ বিষয়টা আমি পুরোটা জানি না কী ঘটেছিল।' 


এ প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, 'কয়েকদিন আগেই বলাগড়ে বিধায়ককে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবার শ্রীরামপুরে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হল। আমরা বিজেপির লোকেরা বলতাম তৃণমূলে শিল্পী সাহিত্যিকদের সম্মান নেই। আর এখন তৃণমূলের লোকজনই পোস্টার মেরে সেটা জানিয়ে দিচ্ছে। ঘটনা যা ঘটছে তাতেও স্পষ্ট যে তাদের সম্মান নেই।' 


 বৃহস্পতিবার কল্যাণের সঙ্গে প্রচার করতে এলে কল্যাণ কাঞ্চনকে বলেন, 'আমায় তো ইলেকশনটা করতে হবে, আমার ইলেকশনটা দরকার আছে। আমি তোমাকে আগের দিনই বলেছিলাম। জানো তো তুমি এসেছ কেন? কারণ দেখছ তো তুমি, খুব খারাপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।ট  এই ঘটনার পরই এই নিয়ে একদিকে যেমন রাজনৈতিক আকচাআকচি শুরু হয়, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় মিমের বন্যায়।  


আরও পড়ুন : 


প্রবল দাবদাহে কেমন আছে পশুপাখিরা? বিশেষ ব্যবস্থা ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় 


আপনার পছন্দের খব