বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: কোলাঘাটে (Kolaghat) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাড়া বাড়িতে পুলিশি হানা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। এক দুষ্কৃতীর খোঁজে পুলিশ গিয়েছিল, দাবি পুলিশের। কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার?
শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশি হানা, কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'ওটা আমার ভাড়া বাড়ি। নিজস্ব বাড়ি নয়। সেখানে আমার যে কেয়ারটেকার ছেলেটি আছে সে বলল, 'স্যার, কিছু সিভিল ড্রেসে আইপ্যাকের ছেলে, আর তমলুকের সিআই, কোলাঘাটের ওসি, তারা কাউকে কিছু না বলে এখানে ঢুকেছে এবং আপনার বেডরুমে ঢুকে গেছে।' আমি তখন যে অফিসার আছে তাঁকে ফোন দিতে বলি। প্রথমে ফোন ধরতে চাননি। পরে কোলাঘাটের ওসি ফোন ধরলেন। আমি তাঁকে বলি, 'দেখুন আমার পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।' কারণ মহামান্য হাইকোর্টে আমি অনেক লড়াই করেছি। আমার বাড়ির সামনে অসভ্যতা হয়েছে। আমার বয়স্ক বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করা হয়েছে, ভাইপোর নির্দেশে। গত ৩ বছরে আমাকে বহুবার আক্রমণ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেহেতু আমি হারিয়েছি নন্দীগ্রামে। আমাকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তিনি অনেকগুলি রক্ষাকবচ দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষে তৎকালীন এজি ছিলেন যিনি, তাঁরও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ছিল যে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি তল্লাশি করতে গেলে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।'
কোলাঘাটের শুভেন্দু অধিকারীর যে ভাড়া বাড়ি রয়েছে সেখানে তিনি প্রায়ই থাকেন। সেখানে আজ বিকেল নাগাদ পুলিশি হানার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশের দল হানা দেয় বলে অভিযোগ। কেশপুরে সভা চলাকালীন এই খবর কানে আসে শুভেন্দু অধিকারীর। এরপর তাঁর ঘাটালে সভা করার কথা ছিল। তবে সেই সভা বাতিল করে সরাসরি কেশপুর থেকেই কোলাঘাট পৌঁছন তিনি। কী কারণে পুলিশি হানা জানতে চেয়ে থানায় পৌঁছন বিরোধী দলনেতা। যদি তাঁর দাবি, যখন তিনি থানায় যান তখন কোনও আধিকারিক সেখানে ছিলেন না। এদিন কোলাঘাট থানার সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মসমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশি হানা, কী অভিযোগ?
'আপনি যদি দুটো ভাঙা বন্দুক রেখে দেন, কিছু টাকা যদি রেখে দেন, যদি জাল নোট হেরোইন ড্রাগের কিছু বেআইনি জিনিস রেখে দেন, তার দায়িত্ব কে নেবে। পরবর্তীকালে আমার রাজনৈতিক সহকর্মীদের খবর দিই, আমার পৌঁছনো পর্যন্ত তাঁদের যেতে বলি। আমার উপস্থিতিতে, ভিডিওগ্রাফি, সার্চ ওয়ারেন্ট যদি থাকে, হাইকোর্টের অনুমোদন থাকলে, আমি অ্যালাউ করব। অস্ত্র, মাদক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল।' পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে কোলাঘাট থানায় যান শুভেন্দু।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।