কমলকৃষ্ণ দে, বিষ্ণুপুর: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার দুই প্রাক্তনের লড়াই। সংসারের আঙিনা ছেড়ে তাঁরা এবার ভোটের ময়দানে মুখোমুখি হয়েছেন। পুরনো কেন্দ্রে ফের দাঁড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। অন্যদিকে, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। এই সুজাতাই ২০২৯ সালে স্বামীর হয়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি তখন ছিলেন বিজেপি। তাই তাঁর গেরুয়া চিহ্ন সম্বলিত সুজাতার বেশ কিছু ছবি রয়ে গিয়েছে। তা বলে সেই ছবি তৃণমূলের প্রচারে ?
বিষ্ণুপুরে দেখা গেল এমনই ছবি। মাঝখানে লেখা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ এর নাম। ডান দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর বাঁদিকে সুজাতা মণ্ডলের ছবি। সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে তিনি যে উত্তরীয় পরে রয়েছেন, সেই উত্তরীয়তে পদ্মফুলের ছবি। ফ্লেক্সের নিচে আবার লেখা , পলেমপুর তৃণমূল কংগ্রেস । ফ্লেক্সে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে সুজাতাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানানো হয়েছে। আর সুজাতার গলায় জ্বলজ্বল করছে পদ্ম-আঁকা উত্তরীয়। খণ্ডঘোষের পলেমপুরের এই ফ্লেক্সের ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
বিষ্ণুপুর লোকসভার খণ্ডঘোষ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারেন বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। প্রচার শুরু করেন পলেমপুর থেকে, শেষ হয় কামালপুর হয়ে কুমীরখোলাতে।
তৃণমূলের এই ফ্লেক্স নিয়ে হাসির রোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এ সম্বন্ধে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তৃণমূলের যিনি প্রার্থী, তিনি কবে থেকে তৃণমূল হলেন, সেটাই বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে কেউ কারও স্ত্রী হওয়ার জন্য যা তাঁকে বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট দেওয়া হয়, আগে কখনও দেখি নি। অনেক শহিদ পরিবার ছিল, তাঁদের টিকিট দিতে পারতেন !
এ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া চাইলে, স্থানীয় মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, 'এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ নয়। বিজেপি বুঝে গিয়েছে, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সুজাতা মণ্ডলই জিতবে, তাই সব কাজ করেছে তারা '।
সবমিলিয়ে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধে সরগরম বিষ্ণুপুর। ভোটের ফলাফলে শেষ হাসি কে হাসবেন, সেটাই এখন দেখার। জানা যআবে ৪ জুন।
আরও পড়ুন :