কলকাতা: এসএসকেএম-এ বসে ভবানীপুরের ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মদন মিত্র। সেজন্যই ভাবনীপুরে ভোটের ঠিক আগে জেল ছেড়ে এসএসকেএম-এ এসেছেন তিনি। এই অভিযোগে সরব ছিল বিরোধীরা। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিল, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া, অন্য কোনও বাইরের লোক হাসপাতালে মদন মিত্রের কেবিনে ঢুকতে পারবেন না। হাসপাতালে থাকাকালীন ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেট, কিছুই ব্যবহার করতে পারবেন না মদন মিত্র।


ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ এদিন স্বাস্থ্যসচিব, কারাসচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। মঙ্গলবার সন্ধেয় জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রীকে।

ভর্তি করা হয় শীততাপনিয়ন্ত্রিত কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিন নম্বর ওয়ানে।

কিন্তু, বিরোধীরা অভিযোগ করে, অসুস্থতার জন্য নয়, ভবানীপুরে ভোট করাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মদনকে। কারণ, কামারহাটি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র হলেও ভবানীপুরই তাঁর গড়! তিনি এখানকারই বাসিন্দা। এখানকার প্রতিটি গলি তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা! এই পরিস্থিতিতে মদনের উপর নজরদারি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে যায় বিরোধীরা। সরাসরি দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লেখেন ভবানীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। তারপরই কমিশনের এই পদক্ষেপ।

যদিও, বিরোধীদের অনেকেরই প্রশ্ন, নিষেধাজ্ঞা তো জারি হল, কিন্তু, সেটা ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করবে কে? মদন মিত্রর পরিবারের লোকেরা তাঁর হয়ে কামারহাটিতে প্রচার করেছেন। মদন মিত্রর ছেলে তাঁর হয়ে কামারহাটিতে বসে ভোট তদারকিও করিয়েছেন।

তাহলে মদন মিত্রর পরিবারের সবাই যখন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তখন তাঁরাই যদি প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তাহলে আর নজর রাখার মানে কী?

সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যসভার
পরিবারের লোকই তো ভোটের এজেন্ট। মোবাইল ব্যবহার করছে কিনা, কে দেখবে।

তাই, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কিছুটা সন্তুষ্ট হলেও, পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না বিরোধীরা।