কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আর বাকি মাত্র এক দফা। ১ জুন সপ্তম দফায় বাংলায় ৮ আসনে হবে ভোটগ্রহণ। একাধিক হেভিওয়েট আসনের সঙ্গেই ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে যাদবপুরেও। শেষ দফার প্রচারও জোরকদমে শুরু হয়েছে। যাদবপুর লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) সমর্থনে এদিন জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যাদবপুরের বিজয়গড়ের বারো ভূতের মাঠে এবং সোনারপুর দক্ষিণের সোনারপুর স্পোটিং ইউনিয়নের খেলার মাঠে এদিন জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। 


সোনারপুরের জনসভায় সায়নী ঘোষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তাঁর মুখে শোনা যায় যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর নামও। এবার কেন সায়নী প্রার্থী? মমতা বলেন, 'আগেরবার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি। তাঁর অবশ্য দোষ ছিল না। সে নিজে ফিল্ম জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ। সেই জন্যই এটা শুধরে নেওয়ার জন্য- সায়নী এখানে পড়ে থেকে লড়াই করবে। দাঁতে-দাঁত চেপে লড়াই করবে।'  


গত বেশ কয়েকবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিবার পাল্টে গিয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র সবসময়েই নজর টানে। একসময়ে বামেদের খাসতালুক এই লোকসভা কেন্দ্রে গত কয়েকবারের লোকসভা নির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল। এখন এই এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। ২০০৯ সাল থেকে পরপর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র দখলে রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু প্রতিবারই পাল্টে গিয়েছে প্রার্থী। ২০১৯ সালে এখানে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করে চমকে দিয়েছিল তৃণমূল। জিতেছিলেন মিমি। তারপর অবশ্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বারবার। তাঁকে না কি দেখা যেত না এলাকায়- এমন অভিযোগও উঠেছিল।


ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তার ২৪ ঘণ্টা পরেই ফেসবুকে কাজে খতিয়ান দিয়েছিলেন তিনি। কেন সরে আসছেন, কেন কাজ করতে পারেননি সেসবই খতিয়ান দিয়েছিলেন তিনি। 


মিমি চক্রবর্তী সাংসদ হয়েছিলেন। একাধিক দলীয় অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যেত। কিন্তু সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তাঁকে খুব বেশি দেখা যায়নি। সাংগঠনিক দায়িত্বও সামলাননি তিনি। এদিক থেকে অনেকটাই আলাদা সায়নী ঘোষ। তিনিও অভিনেত্রী-তিনিও গ্ল্যামার জগতের লোক। কিন্তু গত কয়েকবছরে তাঁকে দলীয় কাজে অনেক বেশি দেখা দিয়েছে। প্রচারে-দলীয় কর্মসূচিতে প্রথম সারিতে নিয়মিত দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী। যেদিন প্রার্থীপদ প্রকাশিত হয়েছিল- সেদিনও তাঁর মুখে উঠে এসেছিল এই কথাই। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: এই সপ্তাহে কী আনছেন আপনার ভাগ্যদেবী? গোপন ইচ্ছে পূরণ হবে কাদের?