কলকাতা : এর আগে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে অডিও ক্লিপ ঘিরে 'প্রলয়' কাণ্ড দেখেছে রাজ্য। সেই অডিও নিয়ে কম উত্তাল হয়নি ভোটবঙ্গ। পঞ্চম দফার ভোটের আগেও সামনে এল আরও একটি অডিও। সৌজন্যে সেই বিজেপি। কেন্দ্রবিন্দুতে আগের বারের মতোই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে অশান্তি ছড়ায় শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। আহত হন আরও চারজন। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা নিয়েই ফোনে দুইজনের কথপোকথনের একটি অডিও সামনে এনেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, ফোনের এক প্রান্তে যে মহিলার গলা শোনা যাচ্ছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অপর প্রান্তে থাকা পুরুষ কণ্ঠটি পার্থপ্রতিম রায়ের।
উভয়পক্ষের কথোপকথনের নির্যাস অনেকটা এরকম :
মহিলা কণ্ঠধারী অপর প্রান্তের পুরুষ কণ্ঠধারীকে বলছেন, ডেডবডিগুলো এখন রেখে দাও। কালকে ডেড বডিগুলো নিয়ে র্যালি হবে । আজকে পরিবারগুলোকে বলবে কেউ ডেডবডি নেবে না। আগে ভোটটা করে নাও মাথা ঠান্ডা করে।
এর উত্তর অপর প্রান্ত থেকে সায় দিয়ে বলা হয়- একদম দিদি।
মহিলা জানতে চান- এটা কারা করেছে ... সিআরপিএফ ?
উত্তরে পুরুষ কণ্ঠধারী জানান...সিআরপিএফ
পরের প্রশ্ন, লোকগুলো কারা ?
উত্তরে পার্থ(বিজেপির দাবিমতো) জানান, আমাদেরই লোক।
এরপরই মমতা(বিজেপির দাবি অনুযায়ী) নির্দেশ দেন, এফআইআর করবে ল-ইয়ারকে দিয়ে। নিজের ইচ্ছেমতো করবে না। এফআইআর বাড়ির লোক যেটা করবে, আমি বলে দেব আফটার ইলেকশন। এখনই পুলিশ স্টেটমেন্ট নিতে গেলে করবে না। ভালো করে এফআইআর করতে হবে ল-ইয়ারের সঙ্গে কনসাল্ট করে। যাতে ওদের কমান্ডান্ট থেকে শুরু করে, এসপি থেকে শুরু করে সবকটা ফাঁসে। এসপিকেও ফাঁসাতে হবে। আইসি-কেও ফাঁসাতে হবে !
অডিও টেপ সামনে এনে সরব হয় বিজেপি। তাদের তরফে অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে দাঁড়ান যারা অবাধ নির্বাচন হতে দিতে চাইছিল না। দেহ নিয়ে মিছিল করলে রাজ্যে বড়সড় গোলমাল হতে পারত।
এদিকে, অডিও ক্লিপটিকে বোগাস বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এই ধরণের কোনও কথোপকথনই ঘটেনি। পঞ্চম দফা ভোটের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বিজেপি।