কলকাতা: দলের সাংসদ মুখ খুলেছেন আগেই। দূরদর্শনের গৈরিকীকরণে এবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। লোকসভা নির্বাচনী চলাকালীন দূরদর্শনের এই রংবদলে তিনি স্তম্ভিত বলে জানালেন। জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে বিজেপি-র রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মমতা। (Mamata on Doordarshan Logo)
গেরুয়া রঙের নতুন লোগো প্রকাশ নিয়ে এই মুহূর্তে কাটাছেঁড়া চলছে দেশ জুড়ে। সেই আবহেই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি লেখেন, 'দেশে যখন জাতীয় নির্বাচন চলছে, সেই সময় আচমকা দূরদর্শনের গৈরিকীকরণ এবং লোগো পরিবর্তনে স্তম্ভিত আমি। এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অনৈতিক, সম্পূর্ণ বেআইনি এবংস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে বিজেপি-র সমর্থনে ব্যবহার করা হচ্ছে'।
নির্বাচন যখন চলছে, আদর্শ আচরণবিধি যখন কার্যকর নির্বাচন কমিশন কী ভাবে এটা হতে দিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ' নির্বাচন কমিশন কী করে এই নগ্ন, গেরুয়াপন্থী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গে অনুমোদন দিল? অবিলম্বে এ নিয়ে পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশনে, দূরদর্শনের পুরনো নীল লোগো ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক'। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যদিও মমতার দাবিতে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, "গেরুয়াতে ওঁর এত আপত্তি কেন?"
গত মঙ্গলবার মাইক্রোব্লগিং সাইট X (সাবেক ট্যুইটার)-এ একটি ভিডিও পোস্ট করে দূরদর্শন, তাতে গেরুয়া রঙের নতুন লোগো প্রকাশ করা হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়, 'মূল্যবোধ একই রয়েছে, শুধু নতুন অবতারে ধরা দিলাম। খবরের নতুন যাত্রার জন্য তৈরি হোন, যা আগে কখনও দেখেননি। নয়া DD- News-এর সাক্ষী হোন'।
বিষয়টি নিয়ে আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রসার ভারতীর সিইও পদে আসীন ছিলেন তিনি। জহর লেখেন, 'জাতীয় সম্প্রচারক দূরদর্শন ঐতিহাসিক লোগোটিকে গেরুয়া করেছে। সংস্থার প্রাক্তন সিইও হিসেবে বলব, অত্যন্ত উৎকণ্ঠার সঙ্গে এই গৈরিকীকরণ ঘটতে দেখছিলাম আমি। আমার মনে হয়, প্রসার ভারতী আর নেই, বর্তমানে সেটি প্রচার ভারতী'। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এই গৈরিকীকরণের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জহর।