কলকাতা: মায়ানামারে সামরিক দমনপীড়ন এড়াতে প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবেদন সমর্থন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে ট্যুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে বিপন্ন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সমগ্র আন্তর্জাতিক মহলকে আবেদন করেছে, তাদের জন্য চলতি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি সমর্থনের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মমতা আজ ট্যুইট করেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবেদন সমর্থন করি আমরা। বিশ্বাস করি, ওদের সবাই সন্ত্রাসবাদী নয়। সত্যিই উদ্বিগ্ন আমরা।
গত বুধবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফেনে ডুজারিক বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান ট্র্যাজেডির ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট করেই জানিয়েছি। ওদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা যে খবর পাচ্ছি, সবাই যেসব ছবি দেখছি, তা হৃদয়বিদারক বললেও কম বলা হয়।
গত ২৫ আগস্ট সামরিক ফাঁড়ির ওপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীদের হামলার পাল্টা সেনার অভিযানে আনুমানিক ৩ লক্ষ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তু মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভারত থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করা হবে বলে আজ জানান।
রোহিঙ্গাদের এদেশ থেকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে পেশ হওয়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে হলফনামা পেশ করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত জুলাইয়ে জানিয়ে দেয়, রোহিঙ্গাদের মতো বেআইনি অভিবাসনকারীদের সন্ত্রাসবাদীদের যোগ থাকতে পারে, ফলে দেশের নিরাপত্তার সামনে ওরা বড় বিপদ হতে পারে। সব রাজ্য সরকারকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চিহ্নিত করে বের করে দিতে বলে কেন্দ্র।
এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসের দাবি, লাগাতার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এ দেশে চলে আসা গুরুতর বিষয়। সরকারের এ নিয়ে একটি স্পষ্ট নীতি থাকা চাই।
কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন রোহিঙ্গা সমস্যার সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে অভিমত জানিয়ে দাবি করেন, ইস্যুটি খুব সিরিয়াস। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করেই সব দলকে আলোচনায় ডেকে সরকার একটি নীতি ঠিক করুক।