বেজিং: অরুণাচলে জাপানি লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। এ ব্যাপারে ভারত-জাপান যৌথ ঘোষণাপত্র নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ায় এই উদ্বেগই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বেজিং বলেছে, ভারত-চিনের সীমান্ত বিবাদে তৃতীয় কোনও পক্ষের নাক গলানো উচিত নয়। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে জাপানের লগ্নির পরিকল্পনা নিয়ে পরোক্ষে এভাবেই মন্তব্য করল চিন। উল্লেখ্য, অরুণাচলকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চিন। গতকালের ভারত-চিন যৌথ ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বিভিন্ন ইস্যু সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশেষ করে অরুণাচল সেক্টরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেওই মন্তব্য করেছে চিন।

ভারত-জাপান ঘোষণাপত্রে দক্ষিণ চিন সাগরে অবাধ জাহাজ চলাচল থেকে শুরু করে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প সংক্রান্ত উদ্বেগের মতো বিষয়গুলি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সফররত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বৈঠকের পর জারি করা ওই যৌথ ঘোষণায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাপানি লগ্নির ব্যবস্থা করতে দুই দেশের মধ্য অ্যাক্ট ইস্ট ফোরাম গঠনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং বলেছেন, ভারত ও চিনের সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। পূর্বাঞ্চলে কিছু বিতর্ক রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের চেষ্টা করছে চিন। এই বিষয়টি ভারত ও অন্যান্য পক্ষগুলি মর্যাদা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। চুনিইং বলেছেন, তাঁদের আশা বিতর্ক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রচেষ্টায় তৃতীয় কোনও পক্ষ নাক গলাবে না।

ভারত-জাপান ঘোষণাপত্রে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় অবাধ জাহাজ চলাচল ও রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র সংক্রান্ত নিয়ম মানার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। এই এলাকারই অন্তর্ভূক্ত দক্ষিণ চিন সাগর।

এ ব্যাপারে চিন দাবি করেছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ভারত ও জাপানের কোনও লেনাদেনা নেই। কারণ, এই অঞ্চলের শরিক ওই দুটি দেশ নয়। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি জাহাজ চলাচলের অধিকার ও আন্তর্জাতিক নিয়ম সংক্রান্ত বিধি বজায় রাখার জন্য আলোচনা করবে। এটাই চিনের অবস্থান। চুনিইং অবশ্য তাঁর এই মন্তব্যে নির্দিষ্ট কোনও জলভাগের কথা বলেননি।