এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মমতা বলেন, গত ২ বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ভোটের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
তাঁর দাবি, ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নীতির ইস্যু তোলা হয়।মানুষ দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির ইস্যু তুলেছেন তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। ফলাফলের পর ফের তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি বলেছেন, ভোটের আগে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করা হয়।
বাম-কংগ্রেস জোটকে একহাত নেন তিনি। বললেন, বামেদের সঙ্গে জোট কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভুল। একইসঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার জন্য সিপিএমকেও বিঁধেছেন তিনি।তিনি বলেছেন, এই ভোটের ফলে জাতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও রাজ্যে সিপিএমের ক্ষতি হয়েছে।
আবার বিজেপির সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতার জবাব, বিজেপির সঙ্গে মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। তবে বিজেপিকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনে আপত্তি নেই।
একইসঙ্গে বলেছেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেব। জয়কে তিনি মানুষের জয় বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, এই জয় মানুষের। এদিন ফের শ্রেষ্ঠ বাংলা গড়ার ডাক দেন মমতা।
মমতা জানিয়েছেন, আগামীকাল তৃণমূলের নবনির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। বৈঠকে নির্বাচিত হবেন পরিষদীয় দলনেতা।
কালই রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে। এরপর ২৭ মে শপথ নেবে নয়া মন্ত্রিসভা। ওই দিন দ্বিতীয় বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। ১০ দিন ধরে সাংস্কৃতিক কর্মসূচী পালন হবে।