অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মৌলিক, বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা : গরু ও কয়লা পাচার মামলা থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি, একের পর এক ইস্যুতে, যে যার মতো করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিজেপি ও সিপিএম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা, শুভেন্দু অধিকারীকে বেনজির আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম। 


শুভেন্দুই তখন সিপিএমকে খুন করিয়েছে : সেলিম

বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে, অতীতে সিপিএম কর্মীদের খুন করানোর অভিযোগ তুললেন দলের রাজ্য সম্পাদক। CPM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'তখন শুভেন্দু গুন্ডাদের পরিচালনা করত। কিষেনজি মারা গেছে, কিন্তু এই মাওবাদীদের দিয়ে শুভেন্দুই তখন সিপিএমকে খুন করিয়েছে।'  শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে তৃণমূল একটা সময় সিপিএম কর্মীদের খুন করিয়েছে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহম্মদ সেলিম। 


পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বাম-বিজেপি দু-দলই।   ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ৫০ হাজার ৭৭৯টি আসনে লড়ছে বিজেপি। অন্যদিকে সিপিএম লড়ছে ৪৫ হাজার ৬৫৬টি আসনে। এই অবস্থায় তাঁকে আক্রমণ করে সিপিএম, আসলে তৃণমূলের সুবিধা করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।


সিপিএমকে আক্রমণ শুভেন্দুর


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'ভোটের মুখে যখন সারা বাংলা একজোট হয়ে, চোর তৃণমূলের বিরোধিতা করছে, তখন তৃণমূলকে হাওয়া দিতে, উনি এইসব বলে বেড়াচ্ছেন। পাটনায় বৈঠক করতে গেছিলেন কেন? আদতে সিপিএম তৃণমূলেরই বি টিম। আর কংগ্রেস দিল্লিতে এ টিম, তৃণমূল সেখানে বি টিম।' 


২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে, বামেদের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ তাদের ঝুলিতে পড়ায়, বিজেপির আসন ৩ থেকে ৭৭ হয়েছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এছাড়াও রাম-বাম...এক বলে বরাবর সিপিএম-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মহম্মদ সেলিম ও শুভেন্দু অধিকারীরা যখন আকচাআকচিতে জড়িয়েছেন, তখন ফের সমস্ত বিরোধী দলকে একযোগে নিশানা করেছে তৃণমূল।


তৃণমূল কংগ্রেস  রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ' শুভেন্দুর সঙ্গে যারা মাখামাখি করছে, তারা বুঝে নিক। শুভেন্দু, সেলিম, সুজন দা, আইএসএফ, অধীর চৌধুরী, সব এক হয়ে আছে। হাতে হাত মিলিয়ে লড়ছেন। জ্ঞানপাপীর মতো কথা বলবেন, আর কাজে উল্টোটা করবেন, তা কী করে হয়?' তিনি আরও বলেন, 'এই বিজেপিকে তো বামেরাই ভোট দিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। এত বড়বড় কথা না বলে, সিপিএম আগে বিজেপির ভোট ফিরিয়ে দেখাক, তারপর বলবে।' 


এখন জনমত কোনদিকে তা প্রকাশ্যে আসবে আগামী ১১ তারিখ।