অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ৩ বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হতে চলেছে। বোর্ডের রাশ যাচ্ছে তৃণমূলের হাতে। বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চলেছে শাসক দল।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল হয়েছিল ২০১৮-তে। আর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হচ্ছে ২০২১-এ। দীর্ঘ ৩ বছরের টালবাহানার পর, অবশেষে কাজ শুরু করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি।
মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার দিনই, বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে কার্যসিদ্ধি করল তৃণমূল। বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির তিন বিজেপি সদস্য যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ আসনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। অন্যদিকে ১২টি আসন পায় তৃণমূল।
কিন্তু, গেরুয়া শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, বোর্ড গঠন করতে পারেনি তারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই যুক্তিতে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। এই অবস্থায় একপ্রস্থ দলবদল হয়।
গত বছর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দুই জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৪ হয়। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তারা। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে থাকায়, সেইসময় বোর্ডের রাশ নিতে পারেনি তারা। এরপর বুধবার আরও তিন সদস্য দলবদল করায় তৃণমূলের সদস্যা সংখ্যা বেড়ে ১৭ হল। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে রইল মাত্র ৮টি আসন। শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে কেশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতি।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোতেই অশান্তি অব্যাহত রাজ্যজুড়ে। গতকাল রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বালিচক গ্রামে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগে। পুড়ে যায় আসবাব ও নথি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে। তার প্রভাব পড়েছে ডেবরাতেও। তবে পার্টি অফিসে কীভাবে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয় বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে। বিজেপির তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।