কলকাতা: 'কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)? কোথায় কো-অর্ডিনেটর?' পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন ভয়ঙ্কর অশান্তি নিয়ে বিরোধী শিবিরের তীব্র সমালোচনার মুখে পাল্টা প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)।   


ফিরহাদের প্রশ্ন...
কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোটা এল না, প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'এরা তো কথায় কথায় কোর্টে যায়, দিনরাত কোর্টে পড়ে থাকে। তার পর তো কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। তার পরও কেন এতগুলি তৃণমূলকর্মী খুল হলেন?' কিন্তু বহু জায়গায় যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেই নিয়ে কী যুক্তি দেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব? ফিরহাদের যুক্তি, ' এখনও সিপিএম-বিজেপি মিলেই গুন্ডামি করছে। অশান্তির নির্বাচন সিপিএমের সংস্কৃতি। যারা সিপিএম করত, তারা এখন বিজেপিতে গিয়েছে।' মন্ত্রীর আরও দাবি, এই অশান্তি আটকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাও নানা ভাবে এই হিংসা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি যে সাফল্য আসেনি, সে কথা মেনে নিলেন ফিরহাদ। তবে সঙ্গে বললেন, 'আক্রান্ত আমরা হচ্ছি, বদনামও আমরা হচ্ছি। দুটো তো একসঙ্গে হতে পারে না।' তাঁর মতে, 'হয় আক্রান্ত হব, নয়তো আগ্রাসী হব। দু'টো একসঙ্গে হতে পারে না।' এদিনই আবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে একহাত নিতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।


রাজ্যপালকে তোপ চন্দ্রিমার...
ভোটগ্রহণ মিটে গেলেও, রবিবার সকাল থেকেই অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। দফায় দফায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই নিয়ে এদিন দুপুরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, "কয়েকটি ঘটনা তো ঘটেইছে! এত প্ররোচনা দিয়েছে নানা দিক থেকে! বিরোধীরা...তার সঙ্গে খুব শ্রদ্ধার মানুষ মাননীয় রাজ্যপাল। বিজেপি-র মুখপাত্র হয়ে যেভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, তাতেই এই ঘটনাাগুলি ঘটেছে। প্রত্যেকটি মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের লোকই বেশি বলি হয়েছেন।" এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ভোটের দিন ১৫ জনের প্রাণ গিয়েছে বাংলায়। তার পরও অশান্তির ঘটনায় কোনও লাগাম নেই। এই মন্তব্যের জেরে চন্দ্রিমাকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি-র সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, "মহিলারা মায়ের জাত। তিনি যদি এমন মিথ্যাচার করেন, অগণতান্ত্রিক কথা বলেন, ধিক্কার জানানোর কোনও ভাষা নেই। আমি জানতে চাই, তৃণমূলের যাঁরা মারা গিয়েছেন, কাদের হাতে মারা গিয়েছেন? বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, নাকি তৃণমূলের হাতে? তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারা গিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোকই বলছেন। পদের লোভে কী ধরনের মিথ্যে বলেন? আমি ভাবতাম শিক্ষিত। কিন্তু শিক্ষিত হলেই সবাই মানুষ হন না। লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়। খুনকে খুন বলুন।"


আরও পড়ুন:নির্দল প্রার্থীর বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে দাপাদাপি, ব্যাপক বোমাবাজি সালারে