কালাবুর্গি: রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ‘ধরা পড়া’র পর নরেন্দ্র মোদি পুরো দেশকেই চৌকিদার বানানোর দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘চৌকিদার’ প্রচার অভিযানকে এভাবেই বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
মোদির ‘আমিও চৌকিদার’ (ম্যায় ভি চৌকিদার) প্রচারকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, ‘চৌকিদারের চুরিতে যুক্ত থাকা ধরা পড়ার পর চৌকিদার বলছেন, সারা ভারতই চৌকিদার। কিন্তু ধরা পড়ার আগে সারা ভারত চৌকিদার ছিল না’।
উল্লেখ্য, বিজেপি ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ প্রচার অভিযান জোরালো করেছে। মোদি ও দলের সভাপতি অমিত শাহ সহ দলের অন্যান্য নেতারা ট্যুইটার প্রোফাইলে তাঁদের নামের আগে ওই শব্দটি জুড়েছেন। মোদির প্রোফাইলে তিনি নিজেকে ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সংহত এই প্রচার অভিযানে বিজেপির অন্যান্য নেতারাও তাঁদের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দ জুড়েছেন।
এই প্রচার অভিযানকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেছেন, ‘ধরা পড়ার আগে শুধু নরেন্দ্র মোদিই চৌকিদার ছিলেন। চোর ধরা পড়েছে’।
কর্নাটকে কংগ্রেস প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গের একটি জনসভায় রাহুলের দাবি, সারা দেশ জানে যে ‘চৌকিদার চোর’।
জনতাকে উদ্দেশ্য করে রাহুল বলেন, ‘আগে আপনারা বলতেন, চৌকিদার চোর। কিন্তু গতকাল ও পরশু পুরো দেশকেই চৌকিদার বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি’।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘মোদি জনগণকে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নয়, আমাকে চৌকিদার করুন। মনে আছে তো। তিনি কিন্তু পুরো দেশকে চৌকিদার করার কথা একটিবারের জন্যেও বলেননি’।
রাহুল প্রশ্ন করেন, ‘কার চৌকিদারি করছেন মোদি? তিনি কি অনিল অম্বানির চৌকিদার ,না নয়? তিনি মেহুল চোক্সি, ললিত মোদি, বিজয় মাল্যর চৌকিদারি করেছেন’।
কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, যেদিন পুলওয়ামায় হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হল, সেইদিন ‘দেশের ছয়টি বিমানবন্দর আদানিকে দেন চৌকিদার’।
রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেন, ইউপিএ সরকার স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, বরাত পাবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল) এবং রাফাল বিমান বেঙ্গালুরু, ওড়িশা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হবে। তত্কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি জানিয়েছিলেন যে, প্রত্যেক বিমানের দাম হবে ৫২৬ কোটি টাকা। ‘’কিন্তু মোদি অনিল অম্বানিকে নিয়ে ফ্রান্সে গিয়ে পুরো চুক্তি বদলে দিয়েছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, ‘৫২৬ কোটি টাকা দামের বিমান চৌকিদার কিনলেন ১,৬০০ কোটি টাকা দিয়ে’।
রাহুলের অভিযোগ, হ্যালের কাছ থেকে বরাত নিয়ে মোদি অনিল অম্বানিকে দিয়েছেন মোদি।
এছাড়াও রাহুল কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও মোদিকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী ও আরএসএস দেশের সংবিধান বদলে ফেলতে চান বলেও অভিযোগ করেছেন রাহুল।