ঘটনাচক্রে ২০০৯ সালে জেতা বারাণসী কেন্দ্রটি যোশী ২০১৪য় নরেন্দ্র মোদির জন্যই ছেড়ে দেন যাতে তিনি সেখান থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
পার্টির সিদ্ধান্ত যোশী মেনে নিচ্ছেন কিনা, সেটা পরিষ্কার নয়। দুদশকেরও বেশি সময় এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী, আডবাণীর মতোই বিজেপির মুখ হিসাবে দেখা হত। যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরির মতো কয়েকজন প্রবীণ নেতা নানা ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতাদের সুরেই সরব হলেও আডবাণীর মতো অনেকে আবার মুখ বুজেই দলে রয়েছেন। দলীয় নেতৃত্বের অঘোষিত নির্দেশেই কয়েকজন প্রবীণ নেতা নিজেরাই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ভোটে লড়তে ইচ্ছুক নন। তবে টিকিট না পাওয়া নেতাদের কেউই প্রকাশ্যে পার্টি নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, তার নিন্দেমন্দ করেননি।
নামী বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে মানেকা গাঁধী, বরুণ গাঁধী এবার নিজেদের মধ্যে কেন্দ্র বদল করেছেন। মানেকা প্রার্থী হলেন সুলতানপুরে, বরুণ পিলিভিটে। উত্তরপ্রদেশ বিজেপি সভাপতি মহেন্দ্রনাথ পান্ডেকে লড়তে দেখা যাবে ফের চান্দাউলিতে। অভিনেত্রী জয়া প্রদা সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেলেন রামপুরে।
যোশী ছিলেন সংসদের এস্টিমেট কমিটির নেতৃত্বে এবং কর্মসংস্থান, জিডিপি ও অনুত্পাদক সম্পদ সহ নানা বিষয়ে সেই কমিটির রিপোর্টে মোদি সরকারকেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, প্রবীণদের এবার নতুন মুখদের সামনের সারিতে উঠে আসার জন্য জায়গা করে দিতে হবে।
এবার শান্তা কুমার, বি সি খান্ডুরি, কারিয়া মুন্ডা, কলরাজ মিশ্র, বিজয়া চৌধুরির মতো নেতা, নেত্রীদের টিকিট দেয়নি। এঁরা বেশ কয়েকবার সাংসদ হয়েছেন, বয়সও ৮০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।