কলকাতা: আজ নন্দীগ্রাম দিবস। রবিবার সকালে ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ইতিহাসের কালো অধ্যায় বলে এই দিনকে চিহ্নিত করলেন তিনি। পাশাপাশি কৃষকদের পাশে আছে সরকার। তাও বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি লেখেন, ২০০৭ সালে এই দিনে নন্দীগ্রামে গুলি করে খুন করা হয় নিরীহ গ্রামবাসীদের। বহু মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। রাজ্যের ইতিহাসে কালো অধ্য়ায়। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। যাঁরা নন্দীগ্রামে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করে আমরা প্রতি বছর ১৪ মার্চ কৃষক দিবস পালন করি। কৃষক রত্ন অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকি। কৃষকরা আমাদের গর্ব। সরকার তাঁদের উন্নতির জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছে। শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে এবং নন্দীগ্রামে আমার ভাইবোনেদের উৎসাহে আমি এই ঐতিহাসিক জায়গায় প্রার্থী হয়েছি। শহিদ পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে বাংলার বিরোধীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করা অত্যন্ত সম্মানের।



অন্যদিকে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করতে এদিন সেখানে যান ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু ও দোলা সেন। শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তৃণমূল নেতারা। এদিকে নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারীকে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম দিবসে হুইলচেয়ারেই আজ হাজরার সভায় দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ গাঁধী মূর্তি থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে হাজরার সভায় হুইলচেয়ারে থাকতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। সভা শেষে এরপর কপ্টারে দুর্গাপুর যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামীকাল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জোড়া সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী।


উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম দিবস পালনকে কেন্দ্র করে সোনাচূড়ার শহিদ মিনারের সামনে উত্তেজনা। শুভেন্দু অধিকারীর পৌঁছনোর আগে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনী, র‍্যাফ ও পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।


শহিদ মিনারের সামনে গেটে পৌঁছয় বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেখানে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। সেই সময় উল্টো দিক থেকে তৃণমূলের মিছিল শহিদ মিনার দিকে আসে। সেই সময় এগিয়ে বাধা দেয় পুলিশ। তৃণমূলের একাংশের দাবি এই শহিদ বেদী তৈরির জন্য জমি দিয়েছি আমরা। সেখান আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নাম না তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, ওঁকে জবাব দিতে হবে কেন এই কাজ করলেন। ঘটনা ঘিরে তৃণমূল বিজেপির হাতাহাতি।