কলকাতা: অর্ডার করেছিলেন নিরামিষ পিৎজা। কিন্তু তার বদলে এসেছিল আমিষ পিৎজা। আর তাতেই চাপের মুখে পড়ল আমেরিকান পিৎজা সংস্থা। ভুল পিজ্জা দেওয়ার অপরাধে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করলেন গাজিয়াবাদের বাসিন্দা দীপালি ত্যাগি। ধর্মীয় বিশ্বাস, শিক্ষা, পরিবারিক পরম্পরায় আঘাত লাগার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
ওই মহিলা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ওই সংস্থার জন্য তাকে সারা জীবন প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। কারণ তিনি নিরামিষাশী। ওই মহিলার অভিযোগ, নিরামিষ পিৎজা অর্ডার দেওয়া সত্ত্বেও আমিষ পিৎজা পাঠিয়েছিল। যা তাঁর কাছে শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক বেদনার কারণ। এরপরই ক্রেতা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন ওই মহিলা। কেন এই ঘটনা ঘটল সংস্থা? তা জানতে চেয়ে সংস্থার জবাব তলব করল আদালত।
ঘটনা ২০১৯ সালের ২১ মার্চে। দোলের দিন রং খেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে বাড়ির শিশুরা। সেই সময় তাদের জন্য নিরামিষ পিৎজা অর্ডার করেন দীপালি। তিনি জানিয়েছেন, রং খেলার জন্য অনেকক্ষণ কিছু খাওয়া দাওয়া করেনি বাড়ির বাচ্চারা। তাই আমি নিরামিষ পিৎজা অর্ডার করি। ৩০ মিনিটের মধ্যে পিৎজা পৌঁছয়। সেই পিৎজা আসার কামড় দিতেই তাঁরা বোঝেন মাশরুমের টুকরোর বদলে রয়েছে মাংসের টুকরো। ওই মহিলা জানিয়েছেন, সংস্থাকে জানানোর পর তারা বিনামূল্যে পিৎজা দেওয়ার কথা জানান। এরপরই তিনি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
দীপালি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ওই সংস্থার কাছেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই আইনের দ্বারস্থ হতে হয়। ওইই ঘটনার ৫ দিন পর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ধর্মীয় বিশ্বাস, শিক্ষা, পরিবারিক পরম্পরা, সচেতনতা এবং নিজস্ব পছন্দের ভিত্তিতে আজন্ম নিরামিষশী। কিন্তু ওই পিৎজা কোম্পানির ভুলের জন্য তাঁকে মাংসা খেতে। আর এই জন্য সারাজীবন পুজা যজ্ঞ করে যেতে হবে। যা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচের বিষয়। দিল্লির কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনে দীপালি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, এতদিনের ধর্মীয় অভ্যাস, বিশ্বাস, সব নষ্ট করে দিয়েছে ওই পিৎজা কোম্পানি। ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের জানি করেছেন তিনি। কেন এই ঘটনা? তা জানতে চেয়ে জবাব তলব করল কমিশন। মামলার পরবর্তী শুনানি।