নয়াদিল্লি: গত দশ বছরে ED কত টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তার পরিসংখ্যান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে তুলে ধরলেন তার আগের দশ বছরের তুলনায় সেই টাকার পরিমাণ কত বেশি। এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র (Suman De) সাক্ষাৎকারে ইডি এবং সিবিআইয়ে কাজের প্রশংসা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 


লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় নির্বাচন ১ জুন। ভোটগণনা ৪ জুন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)। শেষ দফা ভোটের আগে মোদির (Narendra Modi) দীর্ঘতম সাক্ষাৎকার। এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র (Suman De) সাক্ষাৎকারে এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, আগে শুনতাম চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। কিন্তু রাঘবোয়ালদের ধরা হচ্ছে। আর এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন রাঘববোয়ালদের ধরা হল। ED এবং CBI-এর কাজের প্রশংসা করা উচিত।'' 


 



গত কয়েক বছরে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীর ঘর টেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে ক্যামেরার সামনে। সেটা কী করে এড়িয়ে যাবেন? ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল ৩৪ লক্ষ টাকা। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছেন ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় কোনও মাথা রয়েছে। আমি জানি না তিনি কে। কিন্তু ফাইলগুলো নিশ্চয়ই জানে। আমি জানি বা না জানি, যে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি নিজেই জানেন।'' বাংলায় ED-র বাজেয়াপ্ত ৩০০০ কোটি টাকা ফেরাবেন বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তিনি স্পষ্ট জানান, এই টাকা রাজকোষ ভারনোর জন্য নয়। 


এদিকে যেদিন নরেন্দ্র মোদি ইডির বাজেয়াপ্ত টাকার পরিসংখ্যান দিলেন সেদিনই জেলবন্দি সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জোড়া চার্জশিট পেশ করল দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সন্দেশখালিতে ইডি ও সিআরপিএফের ওপর হামলার ঘটনায় বসিরহাট আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, বাড়িতে অস্ত্র ছিল, সেই তথ্য লুকোতেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি তল্লাশিতে গেলে দরজা খোলেননি শেখ শাহজাহান। তার শাগরেদ ফারুখ আকুঞ্জির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শেখ শাহজাহান, তার ভাই শেখ আলমগির, শেখ সিরাজউদ্দিন, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা, শেখ শাহজাহান মার্কেটের ম্য়ানেজার দিদার বক্স মোল্লার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি অফিসারদের মারধর, হিংসা ছড়ানো, ষড়যন্ত্র, ছিনতাই সহ একাধিক ধারা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ৩৮ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট সাত অভিযুক্তের। অন্য়দিকে,, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের মদতেই ২০১৩ সালের পর থেকে শেখ শাহজাহানের উত্থান বলে ব্য়াঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৬১ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরবেড়িয়ার শেখ শাহজাহান মার্কেট সহ ২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে শেখ শাহজাহান ও তার শাগরেদদের ৯টি সংস্থার।     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Narendra Modi EXCLUSIVE: 'সাধারণের টাকা তো রাজকোষ ভরানোর জন্য নয়', বাংলায় 'দুর্নীতি' নিয়ে এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ মোদি