কলকাতা : বিধায়ক নয়, সাংসদই থাকতে চান বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। বিধানসভা ভোটে জিতলেও তাই কয়েকদিনের মধ্যেই সেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন সদ্য হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জেতা দুই গেরুয়া শিবিরের দুই প্রতিনিধি। ইস্তফা দেওয়ার যে খবর মেনে নিয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। অপরদিকে রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এখনও পরিষ্কারভাবে তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে খোলসা না করলেও ইস্তফা দেওয়ারই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। আর নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দিলেই ফের দিনহাটা ও শান্তিপুর এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে পুর্ননির্বাচন হবে।


সদ্য বিধানসভা ভোটের জেতা বিজেপির বাকি বিধায়করা শপথ নিলেও নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার শপথ না নেওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল। এদিন বিধায়ক পদে ইস্তফার কথা স্বীকার করে নিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, 'আমার কাছে আগে দল। তাই অনুগত সৈনিকের মতোই দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলব। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সাংসদ হিসেবেই থাকতে বলেছে। তাই আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেব।' অপরদিকে, শান্তিপুর থেকে বিধানসভা ভোটে জেতা জগন্নাথ সরকারের কথায়, 'এমপি থেকে কেউ এমএলএ হতে চায়? তবে দল যা বলবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।'



গত লোকসভায় কোচবিহার লোকসভা থেকে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। এবারে বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন দিনহাটা কেন্দ্র থেকে। যেখানে মাত্র ৫৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহকে হারান তিনি। অপরদিকে রাণাঘাটের বিধায়ক জগন্নাথ সরকারও রাজ্যে সবুজ ঝড়ের মধ্যে শান্তিপুরে উড়িয়েছিলেন গেরুয়া নিশান।


এবারের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতাদখলকে পাখির চোখ করে গত লোকসভায় জেতা একাধিক সাংসদকে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি শিবির। তবে বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিধানসভায় লড়া স্বপন দাশগুপ্ত সকলেই এবারের ভোটের ময়দানে পর্যুদস্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার।