কলকাতা:  '২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। একাধিক দফায় হয়েছিল ২০১৩-র ভোট, এবার তো একদফায় ভোট।' শুভেন্দুর (Suvendu Adhikakri) করা মামলায় কমিশনকে ফের ধাক্কা দিয়ে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।


কমিশনকে কড়া বার্তা আদালতের : সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েও মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাইকোর্টে খাটল না কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের কৌশল। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন,'কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কমিশন সক্রিয় নয়, তাই কোর্টের নির্দেশ মানতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না।' রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'কোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করতে সব পদক্ষেপ করছে কমিশন। ২০১৩-য় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এই কমিশন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছি না সেই কমিশনের স্বতন্ত্রতার কী হল?' কোর্টের নির্দেশ ছিল গোটা নির্বাচন পর্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা কমিশনের উপরেই মূল্যায়নের ভার ছেড়েছিলাম। ১৭০০ না ৮ লক্ষ বাহিনী-সেটা ঠিক করা কী আদালতের কাজ? প্রাথমিকভাবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী অপর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে। মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারালে ভোট করে লাভ কী? আমাদের কি কমিশনের নিরপেক্ষতায় সন্দেহ করা উচিত?'’


ভোটের (Panchayat Election 2023) আগেই একের পর এক প্রাণহানি, বেলাগাম হিংসা। কোর্টের (Calcutta High Court)  নির্দেশের পরেও পঞ্চায়েত ভোটে জেলাপ্রতি মাত্র ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন। রাজ্যের ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ভোটারের নিরাপত্তায় মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, এছাড়া ৬ জেলায় ১ কোম্পানি করে রাজ্য়ের স্পেশালাইজড ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে থাকবে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স, সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে সমন্বয়ের দায়িত্বে বিএসএফের আই জি (কলকাতা) এস সি বুডাকোটি । ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় ছিল ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০২৩-এ লাগাতার অশান্তির পরেও মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন এত কম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 




 



আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি