কলকাতা: আর মাত্র নদিন পরই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম বাংলার ভবিষ্য়ৎ নির্ধারণ করতে, লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্য়েই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। বর্তমান জেলা পরিষদের কাজে ক্ষুব্ধ ও বোর্ড পরিবর্তন করতে চান? এই সমীক্ষা চালিয়েছিল সি-ভোটার। 


সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে প্রায় ৪৯% মানুষ বর্তমান বোর্ডে পরিষদের কাজে ক্ষুব্ধ ও বোর্ড পরিবর্তন করতে চান। ২৮ শতাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ কিন্তু জেলা পরিষদ পাল্টাতে চাননা। ১৬ শতাংশ মানুষ জেলা পরিষদের কাজে ক্ষুব্ধ নন, পাল্টাতেও চান না বোর্ড। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।


তবে একথা মনে রাখা দরকার যে, সমীক্ষার ফলাফল সব সময় নিখুঁত ভাবে মেলে না। এই ধরনের পরিসংখ্য়ান থেকে মানুষের মনোভাব আঁচ করার চেষ্টা চলে যা কিনা নিখুঁত নয়।


বছরের পর বছর, প্রায় ৩০টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে, নিজেদের আলাদা পরিচিতি তৈরি করছে তারা। 


প্রত্য়েক বছর অন্তত ২৫টি আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরের সমীক্ষা চালায় সি ভোটার।
গ্রাফিক্স আউট


কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক 
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।