কলকাতা: মাঝে আর মাত্র ৮ দিন। তারপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। কিন্তু যাঁদের মতামত নিতে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন,  যাঁদের উপর সবকিছু নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? ভোটগ্রহণের আগে তা নিয়ে আঁচ পেতে রাজ্য় জুড়ে সমীক্ষা চালায় আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter। রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদের সব ক'টি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জুনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা। 


আলিপুরদুয়ার এক সময় ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে জিতেছিল রাজ্যের শাসক দল। মাত্র ১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস - কোনও দলই খাতা খুলতে পারেনি। সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা বলছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যেতে পারে ৫ থেকে ৯টি আসন। ৮ থেকে ১২টি আসন পেতে পারে বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০-১টি আসন।


কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক  প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করেন না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় যে সমীকরণ চোখে পড়ছে, তাতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে রয়েছে দৌড়ে, কড়া টেক্কা দিতে পারে কোন দল, তা নিয়ে আগাম সমীক্ষা চালানো হয়। ABP C-Voter-এর সেই সমীক্ষা কী বলছে, চোখ রাখুন।