কলকাতা: কোথাও সরকারি সুবিধা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন মানুষ, কোথাও আবার দুর্নীতির অভিযোগ.. পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) ব্যালটে ভোট দেওয়ার আগে গ্রামবাংলার মানুষের মনে কাজ করতে পারে ঠিক কী কী সমীকরণ, চিন্তাভাবনা... তা আঁচ করার চেষ্টা করছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা ওয়াকিবহাল বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে, তার উত্তর মিলবে আগামী ১১ জুলাই। তবে তার আগে, গ্রামবাংলার মানুষদের মন বোঝার চেষ্টা করল সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা।
পঞ্চায়েত ভোটের আর মাত্র দিন আষ্টেক বাকি। নদিয়ায় (Nadia) জেলা পরিষদের মোট আসন এবার বেড়ে হয়েছে ৫২টি। সি ভোটারের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে ধাক্কা দিতে পারে বিরোধীরা। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, নদিয়ায় জেলা পরিষদে ৫২টি আসনের মধ্যে ৩৩ থেকে ৪৩টি পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। ৭ থেকে ১৩টি আসন পেতে পারে বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১ থেকে ৫টি আসন।
২০১৮ সালে নদিয়ায় ছিল তৃণমূলের নিরঙ্কুশ দাপট। সেবার জেলা পরিষদের মোট আসন ছিল ৪৭টি। তার মধ্যে ৪৫টি আসনই জিতেছিল রাজ্যের শাসক দল। মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি।
কিন্তু যাঁদের মতামত নিতে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যাঁদের উপর সবকিছু নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? ভোটগ্রহণের আগে তা নিয়ে আঁচ পেতে রাজ্য় জুড়ে সমীক্ষা চালায় আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter। রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদের সব ক'টি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জুনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা।
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করেন না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হবে কবে? কীভাবে-কোথায় কেনা যাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন