ভাঙড়: বহু বুথে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। বিভিন্ন জেলায় ছবিটা এমনই। বুথ খালি করে দেদারে চলল ছাপ্পা। কোথাও অভিযুক্ত তৃণমূল, কোথাও সিপিএম। ভাঙড়ে (Bhangar) ভোট শেষে রাতে এল বাহিনী।
ভোটের দিন ভাঙড়ের ছবি: ভয়ের ভাঙড়ে গতকাল, ভোটের দিনেও চলে অবাধ সন্ত্রাস। ভোটের দিনেও চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হলেন ২ আইএসএফ সমর্থক। অভিযোগ, ভোট দিতে যাওয়ার সময় মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হয় ভাঙড়ের চকমরিচা গ্রামে। পুকুরের অন্য পাড়ে ঝোপের আড়াল থেকে পরপর চালানো হয় গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন ২ জন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখান আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। এদিকে, ভাঙড় ২ নং ব্লকের একটি বুথের ভিতরে দেখা গিয়েছে 'ভুয়ো' সিসিটিভি। বুথের বাইরে ও ভিতরে সিসিটিভি থাকলেও খোলা কানেকশন। প্রিসাইডিং অফিসারের মাথার ওপর সিসিটিভি লাগানো থাকলেও, খোলা অ্যাডাপটর। প্রশ্নের মুখে পড়ে থতমত প্রিসাইডিং অফিসার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। আর সেই সুযোগেই তৃণমূলের এজেন্ট বুথে বেলাগাম ছাপ্পা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ভাঙড়ের ছয়ানি এলাকায় বোমাবাজিতে আহত হয় ২ শিশু।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশনের সূত্রে খবর, ৮২২ কোম্পানির মধ্যে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রাম বাংলার ভোটের জন্য় সুদূর লেহ্ থেকে, জরুরি ভিত্তিতে দেশের সুরক্ষায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। ভোটের আগে জায়গায় জায়গায় রুটমার্চ করতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু ভোটের দিন যেখানে হানাহানি-মৃত্যু-গুলি-বোমা সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়? গণতন্ত্রের উৎসব যেখানে কার্যত রক্তের উৎসবে পরিণত হয়েছ, দিকে দিকে মৃত্যু, খুন, বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের আস্ফালন, ভয়ঙ্কর তাণ্ডব, বীভৎস সন্ত্রাস, সেখানে সন্ত্রাসের স্থলে কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? তাদের কি সঠিকভাবে ব্য়বহার করল না রাজ্য় নির্বাচন কমিশন? পুলিশ কি সন্ত্রাসের জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দূরে রাখল? কেন্দ্রীয় বাহিনীর কার্যকারিতা কোথায় দেখা গেল? ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই সব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। আর দিনভর সন্ত্রাসের পর রাতে ভাঙড়ে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Vastu Tips : সপ্তাহের এই ২ দিন ধূপকাঠি জ্বালাবেন না, ঋণের ফাঁদে পড়তে পারেন; হতে পারে পিতৃ দোষও!