কলকাতা : সন্ধে নামলেই প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে পুজো করা হয়। পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালানোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা মনে করা হয় যে, ধূপকাঠি জ্বালালে বাড়িতে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয় এবং ঈশ্বরও খুশি হন।
সাধারণত, প্রতিটি বাড়িতেই পুজোপাঠের সময় ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিশেষ করে সপ্তাহের দু'দিন ধূপকাঠি জ্বালানো অশুভ বলে মনে করা হয়। হ্যাঁ, ভুল করেও মঙ্গল ও রবিবার বাড়িতে ধূপকাঠি জ্বালাবেন না। এতে পরিবারে দারিদ্র দেখা দিতে পারে এবং পিতৃদোষও হতে পারে।
কারণ কী ?
আসলে ধূপকাঠি তৈরিতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র এবং হিন্দু ধর্মে বাঁশকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ইতিবাচকতার জন্য, সাধারণ মানুষ তাঁদের দোকান, বাড়ি এবং অফিস ইত্যাদিতে বাঁশ রাখেন। সপ্তাহের মঙ্গল ও রবিবার বাঁশ পোড়ানো শাস্ত্রে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এই দুই দিনে ধূপকাঠি জ্বালাবেন না।
বাস্তুশাস্ত্রের পাশাপাশি ফেং শুইতেও বাঁশ পোড়ানো অশুভ বলে মনে করা হয়। এটি ভাগ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং দারিদ্রের কারণ হয়। এছাড়াও, যে বাড়িতে বাঁশ পোড়ানো হয়, সেখানে নেতিবাচকতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মঙ্গল বা রবিবার যদি আপনি ধূপকাঠি বা বাঁশ জ্বালান, তবে তা বাড়ির শান্তি নষ্ট করে।
বাঁশ জ্বালালে হতে পারে পিতৃদোষ-
বংশের প্রতীক ভাবা হয় বাঁশকে। মনে করা হয় যে, যে-ই বাঁশ জ্বালান, তাঁর বংশের ক্ষতি হয়। এই কারণেই হিন্দুধর্মে, যখন কারও মৃত্যুর পরে দাহ করার জন্য বাঁশ দিয়ে একটি পরিকাঠামো তৈরি করা হয়, তখন চিতা জ্বালানোর আগে বাঁশের অংশটি সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ, বাঁশ পোড়ালে পিতৃ দোষ হয়।
উপায় কী ?
হিন্দু ধর্মে পূজার সময় অবশ্যই ধূপ বাতি ব্যবহার করা হয়। এটি ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। ধূপকাঠির পরিবর্তে প্রদীপ, কর্পূর ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনও দোষ নেই।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন