কলকাতা: কোথাও সরকারি সুবিধা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন মানুষ, কোথাও আবার দুর্নীতির অভিযোগ.. পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালটে ভোট দেওয়ার আগে গ্রামবাংলার মানুষের মনে কাজ করতে পারে ঠিক কী কী সমীকরণ, চিন্তাভাবনা... তা আঁচ করার চেষ্টা করছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা ওয়াকিবহাল বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে, তার উত্তর মিলবে আগামী ১১ জুলাই। তবে তার আগে, গ্রামবাংলার মানুষদের মন বোঝার চেষ্টা করল সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা। 


একদিকে যেমন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার উঠেছে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, তেমনই আবার শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠেছে কাটমানি নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও। প্রচারের সময় এই দুই বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক সামনে এসেছে বটে, তবে তার সবটাই রাজনৈতিক নেতাদের তরফে। কিন্তু ব্যালট বক্স বলবে সাধারণ মানুষের কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কায়েম থাকবে কোন দলের আধিপত্য, বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসবে কারা, সেই রায় শেষমেষ দেবে মানুষই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই সমীকরণে একটা বড় ভূমিকা নেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। গ্রামবাংলার মানুষের মাথায় নির্বাচনের ব্যালট বক্সে ভোট দেওয়ার আগে কতটা কাজ করতে পারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ও তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ? খোঁজ নিল সি ভোটার জনমত সমীক্ষা।


সি ভোটার সমীক্ষার তরফ থেকে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি এবং তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগের জন্য় পঞ্চায়েতে শাসকের ফল খারাপ হতে পারে? একটা বড় সংখ্যার গ্রামবাংলার ভোটারদের মধ্যে চালানো হয়েছিল এই জনমত সমীক্ষা। গ্রামবাংলার ভোটারদের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' দিয়েছেন ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ, গ্রামবাংলার ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি এবং তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগের জন্য় পঞ্চায়েতে শাসকের ফল খারাপ হতে পারে। এই একই প্রশ্নের সঙ্গে সহমত হননি, অর্থাৎ 'না' উত্তর এসেছে ২৪ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে। আর ১৮ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, 'বলতে পারব না'। 


কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক  প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করেন না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় যে সমীকরণ চোখে পড়ছে, তাতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে রয়েছে দৌড়ে, কড়া টেক্কা দিতে পারে কোন দল, তা নিয়ে আগাম সমীক্ষা চালানো হয়। ABP C-Voter-এর সেই সমীক্ষা কী বলছে, চোখ রাখুন।


আরও পড়ুন: Alia Deepika: আলিয়াকে বিশেষ উপহার পাঠালেন দীপিকা, দুই নায়িকার মধ্যে সম্পর্ক কেমন?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial