কলকাতা : ২০১৩-র ফের একবার ২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) জন্য রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে নির্বাচনের জন্য বাহিনী ডাকলেও এবার আদালতের নির্দেশে যে পথে হাঁটতে হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission)। কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া বাহিনী নির্দেশে সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। আর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের যে নির্দেশের পর রাজ্য কমিশনের নেওয়া নতুন পন্থা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। বিরোধীদের ও ওয়াকিবহাল মহলের মন্তব্য, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর যে পরিমাণ বাহিনী রাজ্য নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তা যেন চাঁদ সদাগরের মনসা পুজোর সামিল !
সূত্রের খবর, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলা প্রতি ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করেছে। অর্থাৎ গোটা রাজ্যের জন্য মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। গোটা রাজ্যের জন্য যা বাহিনী চেয়েছে কমিশন, তা ২০১৩-র নির্বাচনে জেলা প্রতি যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল, তার অর্ধেকরও কম। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, আদৌ শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো সম্ভব হবে কি না। কমিশনের অল্প পরিমাণ বাহিনী চেয়ে পাঠানোকে 'প্রহসন' বলেও কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। আর এই অবস্থাতে মঙ্গলবার সন্ধেয় কমিশনের অফিস ছেড়ে বেরোনোর পথে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (Rajiva Sinha) যে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যে আনা হয়েছিল মোট ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাঁচ দফায় নির্বাচনের জন্য যে বাহিনীকে ডেকেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ, সেবার জেলা প্রতি প্রায় ৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আর এবারে গোটা রাজ্যের জন্য চাওয়া হয়েছে মোট ২২ কোম্পানি বাহিনী। অর্থাৎ '১৩-র জেলা প্রতি গড় বাহিনীর অর্ধেকেরও কম।
রাজ্যে ৬১ হাজার ৬৩৬ টি বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচন আয়োজিত হবে। গ্রাম বাংলার ভোটে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার। ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা থাকে ৮০ থেকে ১০০ জন। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। আর এই অল্প সংখ্যক বাহিনীর জন্য আবেদন ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন।