কলকাতা : আর আটদিন পরে রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayat Poll ) । গ্রামবাংলার ভাগ্য় নির্ধারণের জন্য় ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর আগে কী ভাবছেন ভোটাররা? তার আভাস পেতেই রাজ্য়জুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার ( C Voter )। ২০১৮ সালে রাজ্য়ের ২০টি জেলা পরিষদের সবকটিতে জয়ের পতাকা উড়িয়েছিল তৃণমূল ( TMC ) । তবে সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোলে ইঙ্গিত, এবারের ছবিটা একতরফা নাও হতে পারে।


কীভাবে সমীক্ষা 


রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ।  


বাম-কংগ্রেসের মধ্য়ে জোট হয়েছে ধরে নিয়ে এই ওপিনিয়ন পোল করেছে সি ভোটার। যেখানে আভাস মিলেছে, কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্য়ে তৃণমূল পেতে পারে ১৩ থেকে ১৯টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯টি আসন। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বোচ্চ ১টি আসন।

মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদ


সাগরদিঘির বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলের পর, মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের দিকে নজর রয়েছে অনেকেরই। সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৭৮টি আসনের মধ্য়ে তৃণমূল পেতে পারে ৩০ থেকে ৪০টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। ৩৩ থেকে ৪৩টি আসন পেতে পারে বাম-কংগ্রেস।


পুরুলিয়া জেলা পরিষদ


গত পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া জেলা পরিষদে তৃণমূলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস। সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোলে আভাস, এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ৪৫টি আসনের মধ্য়ে ২৩ থেকে ৩৩টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। ৫ থেকে ১১টি আসন পেতে পারে বিজেপি। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৫ থেকে ৯টি আসন। 

জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ


গত পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সব আসনে জিতেছিল তৃণমূল। এবার সি ভোটারের ওপিনিয়ন পোলে দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ২৪টি আসনের মধ্য়ে ১০ থেকে ১৪টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। বিজেপি জিততে পারে ৯ থেকে ১৩টি আসনে। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বোচ্চ ২টি আসন যেতে পারে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা


আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা সি ভোটারের ( C Voter) জনমত সমীক্ষা (Opinion Poll) বলছে, মোট ৮৫ আসনের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ৫৭ থেকে ৬৭-র মতো আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৪-২০টি আসন। বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ মিলে পেতে পারে ৩-৭টি আসন। 


পশ্চিম বর্ধমান


জেলা পরিষদে (Zilla Parishad) পশ্চিম বর্ধমানের মোট আসন ১৮টি। সেখানে তৃণমূল পেতে পারে ১১ থেকে ১৫টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ০-২টি আসন। তেমনটাই ইঙ্গিত C Voter-র জনমত সমীক্ষায়।

আরও পড়ুন :


তৃণমূল, বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দিকে ঝুঁকে কোচবিহার ?




 হুগলি জেলা পরিষদ


সি ভোটারের ওপিনিয়ন অনুযায়ী, হুগলি জেলা পরিষদের ৫৩টি আসনের মধ্য়ে তৃণমূল ৩৭ থেকে ৪৭টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি ৬ থেকে ১২টি এবং বাম-কংগ্রেস সর্বোচ্চ ৩টি আসন পেতে পারে। রাজ্য়ের সব জেলা পরিষদের সবকটি আসনজুড়ে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলে এই ওপিনিয়ন চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে।

বীরভূম 

জেলা পরিষদে (Zilla Parishad) -বীরভূমে মোট আসন ৫২ টি। অনুব্রতহীন হলেও তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৩ থেকে ৪৩ টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৮ থেকে ১৪ টি। কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যেতে পারে শূন্য থেকে ৪ টি আসন। তেমনটাই ইঙ্গিত C Voter-র সমীক্ষায়।

কোচবিহার 


জেলা পরিষদে (Zilla Parishad) - কোচবিহারে মোট আসন ৩৪ টি। যেখানে বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯ টি আসন। তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৩ থেকে ১৯ টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১ টি আসন। তেমনটাই ইঙ্গিত C Voter-র সমীক্ষায়।

দক্ষিণ দিনাজপুর

জেলা পরিষদে ২১ টি আসন দক্ষিণ দিনজপুরে। সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে, ১১ থেকে ১৫ টি আসন যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। পাশাপাশি বিজেপির দখলে যেতে পারে ৫ থেকে ৯ টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে শূন্য থেকে ২ টি আসন যেতে পারে।  

পশ্চিম মেদিনীপুর


তৃণমূল কংগ্রেস ৩২-৪২ আসন পেতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিজেপি ১৮-২৪ আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোট ০-৪ আসন পেতে পারে।