মালদা: মালদার চাঁচলে এবার ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ব্যালট পেপার (Ballot Paper)। ব্যালট পেপারগুলি চাঁচল ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির। শাসক ও বিরোধীদলের প্রতীকে ছাপ মারা ব্যালটগুলি পড়েছিল ঝোপের মধ্যে গতকাল সেগুলি উদ্ধার করে চাঁচল থানার পুলিশ (Police)।
বিজেপির দাবি, উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলি যে আসনগুলির, সেখানে তৃণমূলের কাছে অল্প ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এভাবেই ব্যালট লুঠ করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। শাসকদলের পাল্টা দাবি, কোনওভাবে ব্যালট চুরি করে এনে বাইরে ফেলে রেখে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ব্যালট (Ballot) উদ্ধার হয়েছিল হুগলির পান্ডুয়ায়। গণনা কেন্দ্রের পিছনে যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল ব্যালট পেপার। পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি- সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতে ভোট গণনার পর রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ব্যালট উদ্ধার হয়।হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট নিয়ে হাইকোর্টে (High Court) মামলা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসারকে ডেকে জবাব চেয়েছে আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।গণনাতে কারচুপি হয়েছে তারই প্রমাণ, এই ভাবে ভোট গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে ছাপমারা ব্যালট উদ্ধার হওয়া বলে অভিযোগ। পান্ডুয়া ব্লকের ভোট গণনা হয়েছিল বৈঁচির একটি বেসরকারি কলেজে। আজ সকালে সেই কলেজের পিছন দিকেই ব্যালট ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) ব্যালট খেয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন অশোকনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি (TMC Candidate Mahadeb Mati )।পঞ্চায়েত ভোটের গণনার মাঝে আচমকাই বাকরুদ্ধ করা কাণ্ড ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। '৪ ভোটে জিতছিলাম', এমনটাই দাবি তুলেছিলেন হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম (CPM) প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। এরই মাঝে অবাক করা ঘটনা ঘটেছিল অশোকনগরে।
হার এড়াতে হঠাৎই টেবিল থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট নিয়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল সেদিন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি ছিল, 'বিজেপি ভোট গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করছিল, তাই ওঁদের হাত কামড় ধরি। ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। আমি ৪৬ ভোটে জিতেছি।'
আরও পড়ুন, কেরল থেকে কফিন বন্দি দেহ ফিরল শিলিগুড়িতে, ফের ভিনরাজ্যে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
প্রসঙ্গত, গণনার দিন ব্যালট ইস্যুতে নিয়ম ভঙ্গ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।গোটা বাংলায় তখন সবুজ ঝড়, ঠিক তখন গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আদৌ কি বামদের পক্ষে দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি, গণনার টেবিল পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে ? নাকি সেগুলি রাস্তায় লুটোপুটি খাচ্ছে ? এমন কি গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করেছিলেন মহম্মদ সেলিম।