সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। এখানকার মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে তৃণমূলকে রুখতে বোর্ড গঠনে বামেদের সহযোগিতা চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে বামেদের বার্তা, গ্রামবাসীরা চাইলে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে একজোট হওয়া জরুরি। 


পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমকে একসারিতে এনে বারবার আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে আঁতাত তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মহাঘোঁট বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তিন দলকে হারিয়ে তৃণমূলের জেতানোর জন্য বারবার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।


এবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ব্লকে দেখা যেতে পারে সেরকমই একটি ছবিভোটের ফল ঘোষণার পর ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে আমডাঙার মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের সবুজ রং পাল্টে ফেলতে গেরুয়ায় লাল রং মেশার ডাক দেওয়া হয়েছে। 


এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪টি। এর মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১০টি আসন। বিজেপির দখলে ৭, সিপিএমের ৪, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২টি ও নির্দল প্রার্থী একটি আসনে জিতেছে। তৃণমূলকে রুখতে বোর্ড গঠনে এবার বামেদের হাত ধরতে চাইছে বিজেপি। মতাদর্শে মিল না থাকলেও মিলিজুলি বোর্ড গড়ায় সেভাবে আপত্তির কথা বলছে না বামেরাও। রাম-বাম, দুই দলই অবশ্য গ্রামবাসীদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ দেখিয়েছে। 


ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অরিন্দম দে বলছেন, 'বামেদের সঙ্গে কথা বলেছি। গ্রামের মানুষ চাইছে এইভাবেই বোর্ড হবে।' সিপিএম-এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য সাহারাব মণ্ডল বলেন, 'জোট হোক কারণ গ্রামের মানুষ চাইছে। রেজিমেন্টেড পার্টি তাই দল কী বলছে দেখতে হবে।'


জোট-ভাবনাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেন, 'যে কথা বলছিল আমাদের দল। সেটাই প্রমাণিত হতে চলেছে। কংগ্রেস ভাগ না হলে সিপিএম নড়ত না। সিপিএমকে আমরা যা বলি সেটা মিলে যাচ্ছে।'


২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের পরেও মরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে সমস্যা হয়েছিল। বাম প্রার্থীদের দলে টেনে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। এবারও রাম-বাম জোট না হলে, গতবারের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial