উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসাত (Barasat) ১ নম্বর ব্লকে গণনা কেন্দ্রের (Panchayat Elections) মধ্যেই সিপিএমের (CPM) জেলা পরিষদ প্রার্থী হাবিব আলিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ । মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে । আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রার্থী-সহ সিপিএম কর্মীরা। গতকাল ছোট জাগুলিয়া আইটিআই কলেজে গণনা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে সিপিএমের দাবি, কোটরা ও কদম্বগাছি দুটি গ্রাম। পঞ্চায়েতে তারা এগিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই গন্ডগোল শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


ভাঙড়ে ভোট-হিংসার বলি তিন: ভোট গণনার দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। সকাল থেকেই একের পর এক খবর এসেছে। ভয়ের ভাঙড়ে গণনা পর্বের শেষেও ভোট-হিংসার বলি আরও তিন। গভীর রাতে পঞ্চায়েত ভোট গণনার শেষ পর্বে কাঁঠালিয়া স্কুলে গণনা কেন্দ্রের সামনেই বোমাবাজি, চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই আইএসএফ কর্মী হাসান মোল্লা, রেজাউল গাজি এবং গ্রামবাসী রাজু মোল্লার। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর, বাংলায় ৩৫ দিনে ৪৪ জনের মৃত্য়ু হল। গতকালের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মাকসুদ হাসান। তাঁর দেহরক্ষীর পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় আরেকটি গুলি।


তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর: ভোটের ফল ঘোষণার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার ব্রাহ্মণ খলিশা গ্রামে ৩ তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি। বোমার আঘাতে জখম এক মহিলা-সহ ৬ তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি তাজা বোমা উদ্ধার করে বেলদা থানার পুলিশ। এলাকায় আজও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে বোমার সুতলি, পাথর। দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণ খলিশা গ্রামের বুথে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। বিজয় উৎসব শেষ করে ফেরার পর, সিপিএম হামলা চালায় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। হামলা-যোগ অস্বীকার বামেদের। 


বোমা ফেটে জখম এক কিশোর-সহ দুই: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার পর কোচবিহারের দিনহাটা। ভোট গণনার দিন বোমা ফেটে জখম এক কিশোর-সহ দুই। গোসানিমারিতে মাঠের মধ্যে পড়েছিল বোমা। মাঠে কাজ করার সময় দা-এর আঘাত লাগতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আহত হন এক মহিলা ও এক কিশোর। দু’জনেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এর আগে বিকেলে ময়নার বাকচাতেও বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। তাঁর হাত উড়ে যায়।