কলকাতা : কোথায় ব্যালটে ঢালা হল জল, তো কোথাও পুকুরে-নালায় ফেলে দেওয়া হল ব্যালট বাক্স। কোথাও বুথের বাইরে বের করে এনে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ব্যালট বাক্স ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া হল ততক্ষণে পড়া ভোটের সমস্ত কাগজ। আবার কোথাও ভোটকেন্দ্রেই ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরানো হল ব্যালটে। আর প্রায় ক্ষেত্রেই উঠে এল একটাই তত্ত্ব। ছাপ্পাভোটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ব্যালটের জলাঞ্জলি। থুড়ি, লাশের সারিতে দাঁড়ানো বাংলার গণতন্ত্রের জলাঞ্জলি।
জ্যাংরা থেকে জামালপুর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর থেকে দিনহাটা, মাথাভাঙা বা আরামবাগ, রাজ্যের একাধিক জায়গায় দেখা গেল ব্যালটের জল-ছবি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন কার্যত লাগামহীন সন্ত্রাস, হিংসা, রক্তপাতের সাক্ষী থাকল বাংলা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার যে ভয়ঙ্কর চিত্র দেখা গিয়েছিল। তাই যেন ফিরে ফিরে এল। আর বেশিরভাগ জায়গাতেই পুলিশকে দেখা গেল দর্শকের ভূমিকায়। রাজ্যের বহু বুথে তো পৌঁছতেই পারল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তার জেরে রক্তস্নাত হতে হল বাংলাকে। ভোটের দিন ঝরে গেল এক ডজন প্রাণ !
নিরাপত্তার ফাঁক গলে রাজ্যজুড়ে যে অশান্তির আবহ চলল, সেখানে উঠে এল একটা চিত্র। ব্যালট বাক্সে জল পড়ল যে সমস্ত জায়গায় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। কারণ হিসেবে সেখানেই অবাধে ভোট লুঠের পাল্টা অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ছাপ্পা ভোট দিতে। আর যারপরই নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলেই ব্যালটের জলাঞ্জলি দিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও উল্টো ঘটনাও ঘটেছে। সবকিছুর মাঝে বঙ্গের ভোটরঙ্গে উঠে এসেছে নতুন এক দিক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন