কলকাতা: আদালতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছিল রাজ্যে (Panchayat Elections 2023)। বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কিন্তু আটকানো যায়নি অশান্তি, হিংসা এবং প্রাণহানি। সবমিলিয়ে ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও এমনটা ঘটল কী ভাবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহে 'দিদি-মোদি সেটিং' তত্ত্ব উস্কে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Chowdhury)। 


কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ সন্ত্রাস বন্ধ করা যায়নি। চোখের সামনে সব ঘটতে দেখেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহেই  'দিদি-মোদি সেটিং' তত্ত্ব উস্কে দিলেন অধীর। তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে সমঝোতা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বাংলায় যাতে কিছু না করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যাতে দিদির ক্ষতি না করে, সেই নির্দেশ অবশ্যই দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলকে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভোটের দিন ১২টার সময় বাহিনী আসছে! বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন? বাংলার বিজেপি নেতাদের এ নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত।"


আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: ভোট ঘিরে মৃত্যু মিছিল, কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? কমিশনের ঘাড়ে দোষ চাপাল BSF


যদিও অধীরের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বঙ্গ বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি রাজ্য প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। দিলীপের বক্তব্য, "কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? হাইওয়েতে গাড়ি করে ঘুরছিল। থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আদালত জোর করে পাঠিয়েছে, কিন্তু প্রশাসন ব্যবহার করেনি। প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করলে এত মানুষ খুন হত না। ভোট করতে দেওয়া হয়নি, পুনর্নির্বাচনের দাবি করব।"


যদিও দিলীপের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "ওরাই তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোটা পাঠায়নি! চেয়েও সময় মতো পাওয়া যায়নি বাহিনীকে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেই যে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে, কে বলেছে? গতবার তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মারা গিয়েছিল? মণিপুরে কী হচ্ছে? যে কোনও প্রাণ যাওয়াই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু ৬১ হাজারের বেশি বুথ, তার মধ্যে কিছু বুথে হিংসা হয়েছে। অবশ্যই অবাঞ্ছিত। বেশিরভাগই তৃণমূলের লোক মারা গিয়েছেন।"