অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাকি আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা (Panchayat Elections 2023)। তৃণমূল যখন উন্নয়নকে হাতিয়ার করছে, সেই সময় দুর্নীতিকে ইস্যু করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে, মুরলী ধর সেন লেনে বিজেপির অফিসে বসানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্যদের মডেল। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। 


আর ৪৮ ঘণ্টা পরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে, শাসক-বিরোধী সকলে। একদিকে, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ, সুবিধা, উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট টানতে চাইছে তৃণমূল। পাল্টা দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিরোধী পক্ষ। মুরলী ধর সেন লেনে বিজেপির অফিসে বসানো হয়েছে পার্থ, অনুব্রত, জীবনকৃষ্ণ, মানিকের মডেল।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আবার গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। শাসক দলকে কটাক্ষ করে, তাঁদের মূর্তি বসিয়ে ভোটপ্রচারে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যে প্রচার।


আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক, পোস্টারে ছয়লাপ নিউটাউন


পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। একদফায় নির্বাচন করানোর বিষয়টি আদালতেও পৌঁছয়। ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পর আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু বুধবার তাঁর আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে ভোটের দফা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কোন জেলায় কত ফোর্স থাকবে, তার হিসেব পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদে সবথেকে বেশি ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর পরই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া। এই দুই জেলাতেই থাকছে ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৫ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ৩৩ কোম্পানি, নদিয়ায় ৩১ কোম্পানি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মালদায় ৩০ কোম্পানি, কোচবিহার ও হুগলিতে ২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। একমাত্র কালিম্পঙে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। সব মিলিয়ে এবারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আধা সেনা ছাড়াও থাকছে ২০টি রাজ্যের পুলিশ।