কলকাতা: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে তুলকালাম চলছে। মনোনয়নের পঞ্চম দিনেও অশান্ত ভাঙড় (Panchayat Elections 2023)। বুধবার সকাল থেকে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল (TMC) এবং ISF. বোমার আওয়াজে কেঁপে উঠেছে চারিদিক। শাসকদলের লোকজন ISF প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ISF প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় সবরকম সাহায্য়ের নির্দেশ দিল আদালত। অন্য কেউ বাধা পেলেও, কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানানো হয় (Calcutta High Court)।
বুধবার সকালেও দফায় দফায় অশান্তি দেখা গিয়েছে ভাঙড়ে। ১৪৪ ধার জারি সত্ত্বেও বিডিও অফিস ঘিরে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়নে বিরোধীদের বাধা দিতে আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। সেই নিয়ে দুপুরে নবান্নে পৌঁছন নৌশাদ।
আর দুপুরেই এ নিয়ে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, ISF-এর তিন জন প্রার্থী, যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের সবরকম সাহায্য় করতে হবে। কাশীপুর এবং ভাঙড় থানাকে সেই মর্মে নির্দেশ দেন তিনি। অন্য কোনও প্রার্থীও যদি এমন অভিযোগ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে, মিনাখাঁয় হামলার ঘটনায় বসিরহাট পুলিশ সুপারের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত।
বুধবার, মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ছিল ভাঙড়। গতকালের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয় বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে ভাঙড় ১ নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
এমনকি, প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদের পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা যায়। অভিযোগ সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে রয়েছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা মেলেনি।