কলকাতা: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঘিরে অগ্নিগর্ভ ভাঙড় (Bhangar)। সেই আবহে নবান্নে ছুটে এসেছিলেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) । সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যস্ততা দরুণ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে জানালেন নৌশাদ। তাই সাক্ষাৎ ছাড়াই নবান্ন (Nabanna) থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, আচমকাই নবান্নে হাজির হয়েছিলেন নৌশাদ। আগে থেকে জানাননি।


বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভাঙড়ে (Panchayat Elections 2023)। দফায় দফায় সেখানে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং ISF. অভিযোগ, বিডিও অফিস ঘিরে রেখেছে তৃণমূল। বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই নিয়ে দুপুরেই নবান্নে ছুটে আসেন নৌশাদ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে ঢোকেন ভিতরে। ISF বিধায়কদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্নও তিনি ধরবেন বলে জানা যায়।


কিন্তু এর কিছু ক্ষণ পরই নবান্ন থেকে বেরিয়ে আসেন নবান্ন। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি। ব্যস্ত রয়েছেন বলে আজ সময় দিতে পারেননি মমতা। নৌশাদ জানান, নবান্নে আসার আগে ইমেলে পাঠিয়েছিলেন তিনি। দেখা করার সময় চেয়েছিলেন। ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চান বলে জানিয়েছিলেন ইমেলে। কিন্তু দেখা হল না বলে জানান নৌশাদ। 


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: CBI-কে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার, ৪ মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ দিন নৌশাদ বলেন, "মনোনয়নকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অত্যাচার চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু অভিভাবিকা, তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর কাছে এসেছিলাম। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও, আজও ১ নম্বর ব্লক অফিস ঘেরাও করে রাখা হয়েছে সওকত মোল্লা এবং আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না। তাই অভিভাবিকাকে জানানো প্রয়োজন মনে হয়েছিল।"


নৌশাদ জানান, আজ মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করার সময় হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হয়ত সময় পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু নৌশাদের আশঙ্কা, বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন কিনা সন্দেহ। তবে প্রযোজনে ফের তিনি নবান্নে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন নৌশাদ। নৌশাদ জানিয়েছেন, বিধায়ক হিসেবে তিনি তৃণমূল, বিজেপি, ISF, ভাঙড়ের সকলেরই জনপ্রতিনিধি। প্রত্যেকে যাতে সুরক্ষিত থাকেন, নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তার জন্যই এসেছিলেন।