কলকাতা : 'আমি আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayat Poll 2023 )যখন হবে, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হবে।' কথা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  । কিন্তু ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের স্মৃতি ফিরে এল ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিরোধীদের প্রশ্ন এটাই কি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন?  সোমবার সকালে নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাত:ভ্রমনে এসে রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


বললেন, ' রাজনৈতিক দূষণ হয়েছে সেদিন। তার থেকে সবাই মুক্তি চাইছে। রাজ্যের মানুষও চাইছে। রাজ্যপালও চাইছে। রাজ্যপাল (তো দিল্লি চলে গেলেন। রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে?' 


রাজ্যজুড়ে রক্তস্নাত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি তুলেছেন, ৩৫৬ বা ৩৫৫ ধারা লাগু করার। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ' ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওদের হাতের বাইরে চলে গেছে। রাজ্যের মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করে মুক্তি চাইছে। গোটা দেশ গোটা বিশ্ব সেদিন দেখেছে, কী হয়েছে। এরপর এই সরকারের থাকার কোনও এক্তিয়ার নেই। প্রয়োজনও নেই। কিন্তু যেহেতু গণতান্ত্রিক ভাবে এসেছে, যাওয়াও সেভাবেই উচিত। কিন্তু ততদিন এরা থাকলে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে।' 


এখনও কিছু জেলা পরিষদে জয় পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । তিনি জানান, 'আমাদের কোর এলাকায় আমরা ভোট করিয়েছি। যেখানে গোলমাল ছিল, সেখানে আমরা আগে থেকেই প্রার্থী দিতেই পারিনি। এমনও হয়েছে, প্রার্থী হতে কেউ রাজি হয়েছে, কিন্তু নামের প্রস্তাবক পাইনি। ভয়ের পরিবেশ ছিলই। আরও এরকম ২০ শতাংশ মতো জায়গা আছে, যেখানে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু ভোট করানো যায়নি। ভোটার বেরোয় নি। এজেন্ট বসতে পারেনি। দখল হয়ে গেছিল। জেলা পরিষদ পাবো। অবশ্যই পাবো। উত্তর দক্ষিণ মিলিয়ে পাবো। কটা বলা মুশকিল। তবে পাবো অবশ্যই। ' 


পঞ্চায়েত ভোট সন্ত্রাসে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭। এর মধ্যে শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরাও । সেই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, ' ওদের লোক না। ওরা সমাজবিরোধী। গুন্ডা। ওদের দিয়ে এরা ভোট করাত। এবার পারেনি। সাধারণ মানুষ এবার তৈরি ছিল। পাবলিক গাছে বেঁধে পিটিয়েছে। ফলে গুন্ডারা কেউ কেউ মারা গেছে। তৃণমূলের লোক মানে গুন্ডা। পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে কেউ নেই। পুলিশচেষ্টা করছে এখনও।  সকালে জ্যাংড়া গিয়ে দেখুন। পুলিশ  রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছে। আর ভিতরে তৃণমূল দাঁড়িয়ে আছে। মিডিয়া ঢুকতে দিচ্ছে না। পুলিস প্রকাশ্যে বলছে, অন্য কেউ ভোট করবে না। শুধু তৃণমূল ভোট করবে। যেখানে মানুষ পেরেছে, গুন্ডাদের রুখে দিয়েছে। '