কলকাতা: শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সংখ্যা বাড়ালে হবে না। ভোটের দফাও বাড়াতে হবে। দাবি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিশানা বিরোধী দলনেতার। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় চলছেন রাজীব সিন্হা। অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
ভোটের দফা বাড়ানোর দাবিতে সরব: এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, "যদি ২০১৩ র মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করতে হয়, সব গ্রামীণ বুথগুলিকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দিতে হয়, তাহলে দফা বাড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ২০১৩ সালে টাকা দিতে হয় রাজ্যকে। কিন্তু এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে তারা প্রোভাইড। সমস্যা হল রাজীব সিনহাকে নিয়ে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে, কথা নির্দেশের বাইরে যেতে চাইছেন না। কমিশনারকে সরানো বা তার উপর নজরদারি করানোর জন্য স্পেশাব অবজার্ভার নিয়োগ করা ছাড়া এর কোনও সমাধান নেই। কমিশনের লোকেরাই বলছেন তাঁরা কিছু জানেন না। সঞ্জয় বনশাল, রাজীব সিনহা বসে সব ঠিক করছেন।''
বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ‘সব জেলায় যথেষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রিক্যুইজিশন পাঠাবে এবং যত সংখ্যক কোম্পানি বা ব্যাটেলিয়নের জন্য রিক্যুইজিশন পাঠানো হবে, তা ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের থেকে কোনওভাবেই কম হবে না। কারণ, ১০ বছর পর, ২০২৩-এ জেলার সংখ্যা এবং ভোটারের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে ২০১৩-র থেকে বেশি। তাই আমরা আশা করছি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ সঠিকভাবে কার্যকর করবে এবং তা না করার চেষ্টা করলে, তার ফল ভুগতে হবে। এর পাশাপাশি, নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আদালত মনে করে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অন্যান্য রাজ্য থেকে বাহিনী এনে মোতায়েন করলে তাতে আশানুরূপ ফল মিলবে না। কত বাহিনী প্রয়োজন, তা রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে এবং তা করতে হবে সৎভাবে। কারণ, সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট নিশ্চিত করা এবং ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষা করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা।’
আগামী ৮ জুলাই একদফাতে রাজ্যে পঞ্চায়েক নির্বাচন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আগেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা জানিয়েছিলেন, আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রিক্যুইজিশন পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু। এর আগে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি।
আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি