উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। মূলত মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটের দিন-সহ এখনও পর্যন্ত হিংসা অব্যহত রাজ্যে। আর তারই মাঝে নতুন করে মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। ২১ জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনায় দুই তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে
জানা গিয়েছে, কোদালের বাট, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাবড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। তবে তৃণমূলের কোন্দলের জেরেই হামলা, দাবি সিপিএমের। যদিও শুধুই একুশে জুলাই নয়, এর আগেও পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একাধিক ইস্যুতে হিংসার ভুরি ভুরি খবর এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে। তবে এই জেলা অন্য একটি কারণেও লাইমলাইটে এসেছে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে এই নির্বাচনে উঠেছিল একটি ব্যতিক্রমী অভিযোগ উঠেছে। মূলত ব্যালট খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তবে এখানেই শেষ নয়, এই জেলায় হাবড়া, বসিরহাট-সহ একাধিক এলাকায় এবার অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন, 'গর্ভবতী মহিলার পরিবার আক্রান্ত, এটাই তো ডায়মন্ড হারবার মডেল', বিস্ফোরক শুভেন্দু
ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যু নিয়ে ২১-এর মঞ্চ থেকে প্রশ্ন মমতার
প্রসঙ্গত, গতকাল ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যু নিয়ে ২১-এর মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে গতকাল প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, 'কারা খুনটা করল? তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকে খুন করল? বিজেপির বন্ধুরা হিসেবটা মানুষকে দিন। ৭১ হাজার বুথে ভোট হল, ৩টে জায়গায় গোলমাল হল। একটা ভাঙড়। ভাঙরে অশান্তি হাঙরদের। ডোমকল, ইসলামপুর বা চাপড়ার ওদিকে গন্ডগোল করেছিল। কোচবিহারে মারা গিয়েছে একজন। আর তৃণমূলের ১৮ জন, সিপিএমের ৩ জন, বিজেপির ৩ জন খুন হয়েছে। আমরা প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। আমার সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি করি না। আমরা মৃত্যুকে স্বাগত জানাই না। বিজেপির প্ল্যান তৈরি করে সাজিয়ে দিয়ে, ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে বাংলাকে অসম্মান করার চক্রান্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার প্রসঙ্গ রাখা নিয়ে এটা প্রমাণিত।'