অনির্বাণ বিশ্বাস, কাঁথি: বেজে গিয়েছে একুশের দামামা। টানটান উত্তেজনা রাজ্য রাজনীতিতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফল কোনদিকে সেটাই এখন নজর। কিন্তু তার আগে আসরে নেমেছে সব পক্ষই। গতকাল, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তর কাঁথি, দক্ষিণ কাঁথি থেকে রামনগরে সভা ছিল ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবের। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কী বললেন তিনি?


 


২০১৬ সালে দলের অন্য়তম সেনাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনি এখন দল বদলে বিজেপিতে, কোনও প্রভাব পড়বে?


 


যে কাজ করবে মানুষ তাঁকে ভোট দেবে। ২০১৪ থেকে আমি যখন নির্বাচনী প্রচারে যাই, তখন থেকেই বলি যে কাজ করেব তাঁকে ভোট দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেভাবে কাজ করেছেন তা এর আগে হয়নি। নারী সুরক্ষা থেকে কৃষক, স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। যাঁরা আজকে দুর্নীতির কথা বলছেন, তাঁরা তো গত ১০ বছর এই দলের সঙ্গেই ছিলেন। আজকে হঠাৎ মনে হচ্ছে ওই দলটা ভাল। মানুষ তার জবাব দেবে। ২ মে যখন ব্যালট খুলবে তখন দেখা যাবে মা মাটি মানুষের সরকারই আবার আসবে এরাজ্যে।


 


চিরঞ্জিত মন্তব্য করেছেন যাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন তাঁরা করোনা আবহে কাজ পাচ্ছেন না, কী বলবেন?


 


শুধু চিরঞ্জিত চক্রবর্তী নয়, মিঠুন দা, হিরণ, যশ আমার কাছের মানুষ। ওঁদের শেখানোর মতো কিছু নেই। ওঁরা কেন কোন দল যোগ দিয়েছেন তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। যিনি কথাটা বলেছেন তাঁকেই জিজ্ঞেস করা উচিত। আমি একটা জিনিসেই খুশি ২০১৪ সালে এই উদাহরণ ছিল না যে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করার পরেও রাজনীতিতে আসা যায়। সাত বছর পরে সেই উদাহরণটা তৈরি হয়েছে। আগে প্রশ্ন হতো দেব কেন প্রচারে নেমেছে। এখন প্রশ্ন ওঠে দেব কেন প্রচারে নামছে না। হয়ত মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারছি। ভাল লাগে দেখে যে যাঁরা অভিনয় জগতে আসছে তাঁদেরও কোথাও একটা মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা।


 


সারাদিনে তিনটে সভা, উত্তর-দক্ষিণ কাঁথি থেকে রামনগর, কী বলবে এত মানুষ দেখে?


 


মানুষ এখনও দিদির সঙ্গে আছে। কোনও ভাওতাবাজ বা যাঁরা জুমলা দিয়ে যায় তাঁদের সঙ্গে নয়। গত দশ বছরে মানুষের জন্য দিদি অনেক কাজ করেছে। আমরা কোনওদিন হিন্দু-মুসলিম কার্ড খেলিনি। আমরা সমাজের উন্নয়ন নিয়ে ভেবেছি। আজকে তাঁর উদাহরণ। প্রত্যেকে মানুষকে সমর্থন করতে রাস্তায় নেমেছে। আমার বিশ্বাস পূর্ব মেদিনীপুরে ভাল ফল করব।