কলকাতা: ভোটের মধ্যে রাজ্যে এসে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। হাতিয়ার করলেন ভোট লুঠ থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ। পাল্টা জবাব তৃণমূলনেত্রীর। কংগ্রেস-সিপিএমের অবশ্য দাবি, মোদী-মমতা এই তরজা আসলে লোক দেখানো।

বিধানসভা নির্বাচনে বার বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার সন্ত্রাস এবং ভোট লুঠের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার, চতুর্থদফার ভোটের দিন রাজ্যে এসে সেই অভিযোগকেই হাতিয়ার করলেন নরেন্দ্র মোদী।

মোদী বলেন, অন্যান্য জায়গায় ভোটের শেষে বলা হয় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আর এখানে ভোট শেষে হলেই শুধু হিংসার খবর। ভোট লুঠের খবর আসে।

এরপরই নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, এর থেকেই প্রমাণ হয় দিদি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। পরিবতর্নের জন্য আপনাকে সমর্থন করেছিল মানুষ। আপনার মধ্যে পরিবর্তন চলে এসেছে। এতে বাংলার মানুষ ক্ষুব্ধ। বাংলাকে যারা বরবাদ করেছে তারা চুন চুন করে সাফ করে দেবে।

নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলনেত্রী বলেন, এত রিগিং করত যে একজনের নাম রিগিং দেব হয়ে গেল। তখন দিল্লির নেতারা কী ঘুমোচ্ছিল? তোমার চোখে কি ন্যাবা হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর দুই বন্ধু হয়েছে, সিপিএম-কংগ্রেস। দিল্লিতে যাতে তৃণমূল যেতে না পারে, সেই ভয়ে মোদীর বুক কাপে। সেই বয়ে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে জব্দ করতে চাইছে।

নারদ ইস্যুতেও এ দিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মোদী। নাম না করে খোঁচা দেন স্টিংবিদ্ধ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সুলতান আহমেদদের। বলেন, চেহারাটা ভোলাভালা। সাংসদ, দেশকে উপদেশ দেন। আর ক্যামেরার সামনে টাকা নিচ্ছেন। আরেকজন বলে দিচ্ছেন কাকে কত দিতে হবে। ভোটে এদের সাজা দিন।

যদিও, কংগ্রেস-সিপিএমের দাবি, মোদী-মমতা দ্বৈরথ আসলে লোক দেখানো। মোদীর আসল লক্ষ্য হল, জোটের ভোট কেটে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করে দেওয়া।