জলপাইগুড়ি: 'আমরা বাংলা এবং পূর্ব রেলের বিকাশকে প্য়াসেঞ্জার থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের স্পিড পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছি। এবার, আমাদের তৃতীয় দফার কার্যকালে এটি সুপারফাস্ট স্পিডে এগোবে', কাওয়াখালির প্রশাসনিক সভায় আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi In Darjeeling)। 


যা বললেন...
আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসাতের পর আজ শিলিগুড়িতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের মুখে, শুধু মার্চ মাসেই রাজ্যে ৪টি সভা তাঁর। এদিন জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক সভায় তিনি আরও বলেন, 'গত ১০ বছরে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে নজর দিয়েছে কেন্দ্র। বিকশিত বাংলার জন্য এটি আরও একটি পদক্ষেপ। বাংলায় রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে।' তাঁর মতে,. 'উত্তরবঙ্গের এই এলাকা আমাদের জন্য উত্তর-পূর্বের গেটওয়ে। বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের রাস্তাও এখান দিয়েই যায়। এই জন্য গত ১০ বছরে, পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষত, উত্তরবঙ্গের বিকাশে জোর দিয়েছি আমরা। ' প্রধানমন্ত্রীর মতে, রাজ্যের উন্নতির জন্য় এখানে একবিংশ শতকের মতো উন্নত সড়ক ও রেল পরিষেবা তৈরি করতেই হবে। এই লক্ষ্য মাথায় রেখেই উত্তরবঙ্গের একাধিক অংশের রেললাইনের 'ইলেকট্রিফিকেশন'-র কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে দুই দিনাজপুর, কোচবিহারের মতো জেলায় ট্রেনের গতি আরও বাড়বে। দূষণের পরিমাণও করবে। বারসই-রাধিকাপুর এক্সটেনশনেরও ইলেকট্রিফিকেশন শেষ হয়েছে, জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, 'রেলের পরিকাঠামোর এই উন্নতি সাধার মানুষের জীবন আরও মসৃণ করবে।' 
এর পরেই তিনি মনে করান, 'একটা সময় ছিল, যখন উত্তর-পূর্বের দিকে এগোতেই ট্রেনের গতি কমে আসত। কিন্তু আমাদের সরকারের প্রয়াস হল, গোটা দেশের যে ভাবে ট্রেনের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, সে ভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ানো হবে।' ২০১৪ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেলখাতে বাজেট বরাদ্দ যেখানে ৪ হাজার কোটি টাকা থাকত, সেটি এখন প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, 'আমরা বাংলা এবং পূর্ব রেলের বিকাশকে প্য়াসেঞ্জার থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের স্পিড পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছি। এবার, আমাদের তৃতীয় দফার কার্যকালে এটি সুপারফাস্ট স্পিডে এগোবে।'


প্রেক্ষাপট...
তৃতীয় দফায় যে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন সরকারই কেন্দ্রে আসছে, এ নিয়ে আগেও ভবিষদ্ব্যণী শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। কিন্তু লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে, উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই বার্তার অন্য তাৎপর্য দেখছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনা হল, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হাত উপুর করে আশীর্বাদ করেছিল উত্তরবঙ্গ। একুশের বিধানসভা ভোটেও পুরোপুরি নিরাশ করেনি। সেই মাটিতে দাঁড়িয়ে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণা ও তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার আত্মবিশ্বাস---সব মিলিয়ে আলাদা মানে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও পড়ুন:কনে-বরপক্ষ ভক্তরাই, শিব পার্বতীর বিয়ে ঘিরে মন্দিরে উপচে ভিড়