কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, আপনার পদক্ষেপ নেওয়ার সময় শেষ। এবার কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সরকার পদক্ষেপ নেবে। এই মন্তব্যকেই জোটের সাফল্যের ব্যাপারে কংগ্রেস সহ সভাপতির আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও যখন রাজ্যে এসেছেন রাহুল গাঁধী, তখনও তাঁর মঞ্চে দেখা গিয়েছে জোটের ঐক্যবদ্ধ ছবি। আসানসোলে, রাহুলের মঞ্চে ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। আর, শনিবার, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, রাহুলের সভায় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করার পাশাপাশি, বাম-কংগ্রেস জোটের সরকার ক্ষমতায় এলে তারা কোন কোন বিষয়ে জোর দেবে, তাও স্পষ্ট করেন রাহুল গাঁধী।
রাহুল বলেন, বাম-কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে মূল ফোকাস হবে চাকরি দেওয়া।
রাহুল গাঁধীর মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে নিশানা করেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদি বলছে জল ধরো। জল ভরো। নতুন সরকারের স্লোগান হবে চোর ধরো জেলে ভরো।
বাংলায় কেমন ভোট হচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর থেকে সেই রিপোর্ট নেওয়ার পাশাপাশি সিপিএম সাংসদ ঋতব্রতর সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেন রাহুল গাঁধী। গত কয়েক দফার ভোটে কীরকম অশান্তি হয়েছে, সে কথা রাহুলকে জানান ঋতব্রত।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আর যে তিন দফা ভোট বাকি, তার মধ্যে, কোচবিহার বাদে, সবই দক্ষিণবঙ্গের জেলা। যেগুলি তৃণমূলের শক্ত ঘঁটি বলেই পরিচিত। অর্থাৎ, এই শেষ তিন দফায় বাম-কংগ্রেসের সামনে আরও কঠিন লড়াই। এই পরিস্থিতিতে, বাম-কংগ্রেস জোটের পালে আরও হাওয়া তুলতে এবং দুই শিবিরের কর্মীদের আরও চাঙ্গা করতে, কংগ্রেসের সহ সভাপতির সভায় উপস্থিত সিপিএমের সাংসদ।