নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত হয়ে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশদ তথ্য জমা দিল SBI, যার মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের অক্ষর এবং সংখ্যা মিলিয়ে তৈরি ইউনিক নম্বরও রয়েছে। কোন কর্পোরেট সংস্থা বা শিল্পপতির থেকে কোন রাজনৈতিক দলের কাছে চাঁদা গিয়েছে, তা ওই নম্বর মেলালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। (Electoral Bonds)


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার কমিশনের কাছে সব তথ্য জমা দিয়েছে SBI. তারা জানায়, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জনা দেওয়া হল। সমস্ত অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং KYC সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া আর কিছু বাকি রইল না। SBI-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত ওই তথ্য শীঘ্রই কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। (SBI Electoral Bonds)


লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। কোন কর্পোরেট সংস্থা এবং শিল্পপতির কাছ থেকে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চাঁদা গিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়। প্রথমে গড়িমসি করলেও, শেষ পর্যন্ত কিছু তথ্য প্রকাশ করে SBI, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ ছিল। নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিকসংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। 


আরও পড়ুন: Election Commission: আদর্শ আচরণবিধি চালুর পরও কেন হোয়াটসঅ্যাপে মোদির চিঠি? অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ কমিশনের


সেই নিয়ে সম্প্রতি ফের সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসিত হয় SBI. ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের পর থেকে যত নির্বাচনী বন্ড কেনা হয় এবং সেগুলি ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়, তার বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয় তাদের। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে জমা দিতে বলা হয় হলফনামা। সেই মতোই এদিন তথ্য জমা করল SBI. 


বেছে বেছে তথ্য প্রকাশ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় SBI-কে. প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, "SBI-কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। আবারও পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি,  যে সমস্ত নির্বাচনী বন্ড কেনা এবং ভাঙানা হয়স তার আলফানিউমেরিক নম্বর, সিরিয়াল নম্বর প্রকাশ করতে হবে।"


এর আগে, কমিশনকে দু'টি তালিকা দিয়েছিল SBI, যা গত ১৪ মার্চ নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কমিশন। ওই তালিকার একটিতে কারা, কত টাকা করে চাঁদা দিয়েছে, তার উল্লেখ ছিল, অন্যটিতে কোন দলের কাছে, কত টাকা চাঁদা গিয়েছে, তার মধ্যে কবে কত টাকা ভাঙানো হয়েছে, তার উল্লেখ ছিল। কিন্তু ইউনিক নম্বর ছাড়া কোন সংস্থা থেকে কোন দলের কাছে চাঁদা গিয়েছিল, তা বোঝার উপায় ছিল না।