কলকাতা: শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে আজই মাথাভাঙার আইসি-কে তলব করেছে সিআইডি। এর পাশাপাশি ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার দুই এএসআই সুব্রত মণ্ডল ও রাফা বর্মনকে। এর মধ্যে সুব্রত মণ্ডল নির্বাচনের দিন ক্যুইক রেসপন্স টিমের দায়িত্বে ছিলেন। ওই পুলিশ অফিসারই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাস্তা চিনিয়ে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে নিয়ে যান। কার নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাওয়া হয়, কী পরিস্থিতিতে শীতলকুচির ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মাথাভাঙা থানার ওই পুলিশ অফিসারকে। পাশাপাশি, এএসআই রাফা বর্মন ভোটের দিন সেক্টর অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন।তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির জোড়াপাটকি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়।


গুলিতে আহত হন আরও কয়েকজন।রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তদন্ত করছে।


এর আগে  বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে সেই টিমের কাছে হাজিরা দিয়েছেন  গুলিকাণ্ডে মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসার।শীতলকুচিকাণ্ডের পরপরই ২টি মামলা করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।খুন, খুনের চেষ্টা, হিংসা ছড়ানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়।সেই মামলা দুটিরই তদন্ত করছিলেন, বৃহস্পতিবার  ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়া পুলিশ অফিসার।


সিআইডি সূত্রে খবর,সেদিন কী ঘটেছিল, কোন প্রেক্ষিতে গুলি চলেছিল, কাদের বয়ান নেওয়া হয়েছিল, এদিন জিজ্ঞাসাবাদে তাই জানতে চাওয়া হয়।তদন্তকারী অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়।


শীতলকুচির ঘটনার পরদিন মাথাভাঙায় গিয়ে নিহতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই ঘটনার তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন।


এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। সিআইডি ঘটনার তদন্ত করবে। তৃণমূল নেত্রী মাথাভাঙায় গিয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।